সিগন্যালে ভুলের কারণে ভারতের ওড়িশায় চেন্নাইগামী ট্রেন দুর্ঘটনা হয়ে থাকতে পারে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে। তবে বিস্তারিত তদন্তে দুর্ঘটনার কারণ আরও স্পষ্ট হবে বলে রেল কর্মকর্তানা জানিয়েছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এক যৌথ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘আপ মেইন লাইনে সবুজ সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ট্রেনটি সেই লাইনে ঢোকেইনি। ট্রেন ঢুকেছিল লুপ লাইনে। সেখানে আগে থেকে একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। তার সঙ্গে সংঘর্ষে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়।’
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ‘এর মধ্যে ডাউন লাইন দিয়ে বালেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনেরও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়।’ কিন্তু মেইন লাইনে সবুজ সিগন্যাল পাওয়া সত্ত্বেও করমণ্ডল এক্সপ্রেস কীভাবে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এক্ষেত্রে সিগন্যাল দেওয়ায় কোনও ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৩০০ পেরোতে পারে। এখনও ধ্বংসস্তুপে মরদেহ রয়েছে। ধ্বংসস্তুপের নিচেও চাপা পড়ে থাকতে পারে অনেক দেহ। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। তবে সরকারিভাবে রেল ‘উদ্ধারকাজ’ শেষ বলে ঘোষণা করেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ওড়িশা রাজ্যে করমণ্ডল যাত্রীবাহী ট্রেন একটি মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেয় এবং একই সময় যশবন্তপুর-হাওড়া সুপারফাস্ট আরেকটি ট্রেন লাইনচ্যুত কোচগুলোর সাথে ধাক্কা খায়। তিন ট্রেনের ভয়ঙ্কর সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৮০ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন আরও ৯০০ জনেরও বেশি।
এই দুর্ঘটনায় দু’জন বাংলাদেশি নাগরিক আহত হয়েছেন। তবে তাদের বর্তমান অবস্থা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। নয়াদিল্লীর বাংলাদেশ হাইকমিশন ও কলকাতার ডেপুটি মিশন পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং আহত বাংলাদেশিদের বিস্তারিত জানার জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, উভয় বাংলাদেশি শালিমার স্টেশন থেকে ‘করমণ্ডল এক্সপ্রেস’ ট্রেনে চেন্নাই যাচ্ছিলেন।