ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কফিন গতকাল বুধবার বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে ওয়েস্টমিনস্টার হলে নেওয়া হয়েছে।
সেখানে রানির মরদেহ চার দিন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত (লাইং-ইন-স্টেট) রাখা হবে। লাইং-ইন-স্টেট হচ্ছে শেষকৃত্যানুষ্ঠানের আগে এমন একটা আনুষ্ঠানিকতা—যেখানে সাধারণ মানুষের দেখার জন্য কফিনটি রাখা হয়।
গতকাল থেকেই সাধারণ মানুষ রানির কফিনে শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করেছেন।
গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২২ মিনিটে একটি আনুষ্ঠানিক শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বাকিংহাম প্রাসাদ ছাড়ে রানির কফিন। তার কফিনটি বহন করে রাজকীয় অশ্বারোহী গোলন্দাজ বাহিনীর একটি ঘোড়ায় টানা গাড়ি।
এ সময় রানির কফিনের পেছনে পদব্রজে ছিলেন রাজা তৃতীয় চার্লস এবং তার সন্তানেরা—প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি। রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও পেছন পেছন পদব্রজে চলেন।
প্রায় ৪০ মিনিটের শোভাযাত্রায় এক মিনিট পরপর হাইড পার্ক থেকে তোপধ্বনি করা হয়। কফিন বহনকারী বহরটি সেন্ট্রাল লন্ডনের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় তা দেখতে রাস্তার দুই পাশে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন।
কফিনটি ওয়েস্টমিনিস্টার হলের নির্দিষ্ট স্থানে রাখার পর রাজা এবং রাজ পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে একটি সংক্ষিপ্ত প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রার্থনা শেষে রাজপরিবারের সদস্যরা গাড়িতে করে ওয়েস্টমিনিস্টার প্রসাদ ত্যাগ করেন। স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা থেকে জনসাধারণকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ওয়েস্টমিনস্টার হলটি আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ৬টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকবে।
রানি শেষকৃত্য হবে আগামী সোমবার ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে। ঐ দিন যুক্তরাজ্য জুড়ে সাধারণ ছুটি থাকবে।
রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় দেশি-বিদেশি প্রায় ৫০০ অতিথি থাকবেন। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
রানিকে উইন্ডসর প্রসাদের গির্জার সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে সমাহিত করা হবে।