মহানায়ক হওয়ার মঞ্চটা নেইমারের জন্য প্রস্তুতই ছিল। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে ডেডলক ভাঙেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারই। এরপর পথ হারায় সেলেসাওরা। ম্যাচে সমতা টেনে দেন ব্রুনো পেতকোভিচ। টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে আশাভঙ্গের বেদনায় পুড়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল। শ্যুট আউটে কিক না নিতে পারা ট্র্যাজিক হিরো নেইমার কান্নায় ভেঙে পড়েন।
কোয়ার্টার ফাইনালে হারের পর আন্তর্জাতিক ফুটবল ছেড়ে দেয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন ভাঙা মন নিয়ে। ৩০ বর্ষী স্ট্রাইকার বলেছেন, সেলেসাওদের জার্সিতে আবারও তার খেলার শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।
‘আমি জাতীয় দলে কোনো দরজা বন্ধ করছি না। তবে আবার ফিরে আসব তার শতভাগ নিশ্চয়তাও দিচ্ছি না।’
ব্রাজিলের তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি পেলের সমান ৭৭ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করা নেইমারকে টাইব্রেকারে হেরে যাওয়ার যন্ত্রণা বিদ্ধ করছে। নিজ মুখেই বলেছেন সেটি।

‘এটা ভয়ঙ্কর এক অনুভূতি। আমি মনে করি গত বিশ্বকাপে যা হয়েছিল এটা তার চেয়েও খারাপ অনুভূতি। এই মুহূর্তটি ভাষায় প্রকাশ করার জন্য শব্দ খুঁজে পাওয়া কঠিন।’
‘আমরা লড়াই করেছি এবং সতীর্থদের জন্য গর্বিত। তারা নিজেদের যে চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলেছে এবং টাইব্রেকার নেয়ার সময় যে সাহস দেখিয়েছে, তার জন্য আমি গর্বিত।’