সাংবাদিকের ভূমিকায় ফুটবল বিশ্বকাপ কাভার করতে এসেছি শুনে উবারের ফিলিপিনো চালক ব্রুনো গাড়িতে তুললেন ঝড়ের গতি, ছুটিয়ে দিলেন কথার তুবড়ি। ফুটবল, বিশ্বকাপ, কাতার দল বা এশিয়ার সম্ভাবনা, প্রসঙ্গ তুললেন। আমি চলতে চাইলাম ভিন্ন রাস্তায়।
আল ওকরা’র ধূসর মরুভূমি’র মাঝে ইতিউতি ওঠা অসংখ্য আবাসন প্রকল্প, পেল্লাই ভবন, বহুতল আর চওড়া আধুনিক এক্সপ্রেস ওয়ের দিকে চোখ রেখে আনমনে বললাম, ‘দশ বছর আগে কেমন ছিল এই অঞ্চল?’
দুই দশক ধরে কাতারে বসবাস করা ব্রুনোর চটজলদি উত্তর, ‘ডেসার্ট এন্ড ক্যামেলস’, মরুভূমি আর উট। পরে বললেন, ‘দশ বছর না হোক, ১২ বছর আগে তাই ছিল।’
ব্রুনোকে অবিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। ২০২২’র বিশ্বকাপ আয়োজকের দায়িত্ব কাতারকে দেয়া হয় ২০১০’র বিশ্বকাপ চলাকালে। মাত্র ১২ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে মধ্যপ্রাচ্যের এই বিত্তশালী মরুময় দেশটাকে স্বপ্নের মতো করে বানিয়েছেন দেশটির বিচক্ষণ শাসকরা। ঊষর মরুতে নীলপদ্ম ফোটানোর মতোই অবিশ্বাস্য রূপান্তর। শিল্পী যেমন নিজের কল্পনার সৌন্দর্যকে তুলির পরশে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন অনেকটা তেমনই। শুধু সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা নয়, তার রূপ যাতে মলিন না হয় সেই চেষ্টাও দেখেছি বারবার।
বিদেশে এলেই স্বদেশের সাথে তার তুলনা বা হীনমন্যতায় ভোগার মানুষ আমি নই। তারপরও স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, এবার কাতারের এই শ্রী দেখে আমি মুগ্ধ। দূর থেকে ভাবতাম অর্থ, বিত্ত-বৈভবের পাশপাাশি বিলাসিতা আর ধর্মীয় গোঁড়ামিতে ধরাকে সরা জ্ঞান করা একটি দেশ কাতার। এবার সেই ধারণা ভেঙ্গে গিয়ে যোগ হয়েছে মুগ্ধতা।
ছোট্ট একটি দেশ, গাড়ীতে চড়ে পাঁচ ঘণ্টায় এক প্রান্ত থেকে শেষ প্রান্তে যাওয়া যায়। লোকসংখ্যা কুড়িয়ে বাড়িয়ে ৩০ লাখ। এরমধ্যে জনসংখ্যার অনুপাতে ভূমিপুত্ররা তিন নম্বরে। এক নম্বরে ভারতীয়, দুইয়ে পাকিস্তানি। অথচ নিখুঁত পরিকল্পনায় আরব বিশ্বের বুকে কাতার পরিণত হচ্ছে আধুনিক বসবাসযোগ্য আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কসমোপলিটান একটি রাষ্ট্রে।
অনেকটা যেভাবে কাতার এয়ারওয়েজ ও আল জাজিরা টিভি নেটওয়ার্ক’কে বিশ্বসেরাদের সারিতে নেয়া হচ্ছে, ঠিক সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে কাতার। আল ওকরা বা আল ওয়াকির কিংবা লুসেইল রাজধানী দোহা থেকে দূরের পড়শি জেলা। সেই জেলাগুলোর সাথে দোহার সড়কপথে যোগাযোগ এককথায় অপূর্ব। মাত্র এক যুগের মধ্যে মরুভূমি আর উটদের সরিয়ে জায়গা করে নিয়েছে একাধিক ৮ লেনের আধুনিক হাইওয়ে। প্রশস্ত রাস্তা, চওড়া ফুটপাত, পর্যাপ্ত আলো, আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা, অথচ দিনে বা রাতে ফুটপাতে পথচারীদের দেখাই পাওয়া ভার।
ফুটপাত ছাড়িয়ে অনেক ভেতরে নিরাপদ স্থানে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আকাশছোঁয়া বিলবোর্ড। পথে কিংবা ফুটপাতে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির শঙ্কা নেই বললেই চলে। পাশাপাশি আছে মেট্রো ট্রেন লাইন। তবে মেট্রো এখনো পুরোপুরি সম্প্রসারিত না হওয়ায় লুসেইল থেকে শার্টল বাসে যেতে হয়েছে আল বাইত স্টেডিয়ামে।
একইভাবে আল ওকরা মেট্রো স্টেশনে নেমে ইজদান ৩০’কে আমার অস্থায়ী নিবাসে যেতে উবারে পাড়ি দিতে হয় অন্তত ২০ কিলোমিটার পথ। ওকরা থেকে রাজধানীমুখী যে বিশাল চওড়া হাইওয়ে, তাতে লেন, বাইলেন, অগুনিত ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, ওভারপাস, আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যালস। অসংখ্য গাড়ি চলছে। অথচ গত তিন সপ্তাহ থাকাকালে সিগন্যালসে কোনো ট্রাফিক পুলিশ দেখিনি, হর্নের আওয়াজ শুনিনি। একেবারে ইউরোপিয়ান হাইওয়ে।
কিভাবে এই ম্যাজিক সম্ভব হয়েছে তার উত্তর দিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি উবার চালক ভাইয়েরা, ‘ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় থাকে গাড়ি অথবা মোটরসাইকেলে, ট্রাফিক আইল্যান্ড বলে কিছু নেই। ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রিত হয় ট্রাফিক শৃঙ্খলা। কেউ আইনভঙ্গ করলে মোটা অংকের জরিমানা দিতে হয়। সেটার পরিমাণ দেড় থেকে তিন হাজার রিয়াল, এমনকি অপরাধ গুরুতর হলে নয় থেকে বারো হাজার রিয়াল পর্যন্ত।’
একজন ড্রাইভার মাসিক বড়জোর হাজার দুয়েক রিয়াল আয় করতে পারেন। তার জন্য তিন হাজার রিয়াল জরিমানা একমাস পুরো পরিবার নিয়ে অনাহারে থাকার সমান। সে নিজের স্বার্থেই আইন ভাঙার কথা কল্পনাও করতে পারে না।
‘পুলিশকে ম্যানেজ করা যায় না!’ এমন প্রশ্নের বাংলাদেশি ভাইটির উত্তর, ‘এটা বাংলাদেশ নয়। পুলিশ কিছু পকেটে ভরে নিজের বিপদ ডাকবে নাকি!’ কাতারে পুলিশের চেয়েও শক্তিশালী ‘সিআইডি’। তারা সংখ্যায় বেশী এবং সাধারণ বেশে দায়িত্ব পালন করে। শুধু অপরাধী নয়, পুলিশের কার্যকলাপও নজরে রাখে, প্রয়োজনে শাস্তিরও সুপারিশ করে তারা। অভিযুক্ত অনেক পুলিশ চাকরি হারিয়েছে, শাস্তি পেয়েছে। ভিনদেশি পুলিশ সদস্য হলে ভিসা বাতিল, চাকরীচ্যুত করে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এমনকি কোন অপরাধ সংঘটিত হলে অনেকক্ষেত্রেই ঘটনাস্থলে পুলিশের আগে হাজির হয় সিআইডি।
২০০৯’এ প্রকল্প প্রণয়ন, ২০১৩’তে খনন কাজ শুরু’র মাত্র ছয় বছরের মাথায় ২০১৯’এ চালু হয়েছে ৭৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দোহা মেট্রো। তিন লাইনের এই মেট্রোর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ ইউরোপের যেকোনো শহরের ঈর্ষার কারণ হতে পারে। ৩৭ স্টেশনের এই মেট্রো নেটওয়ার্কে একের পর এক ট্রেন আসে যায়। এ পর্যন্ত একবারও পরবর্তী ট্রেনের জন্য আমাকে তিন মিনিটের বেশী অপেক্ষা করতে হয়নি।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে অসংখ্য ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় বেশী, যেন পশ্চিমাদের দেখিয়ে দেয়া, ‘কত সমালোচনা করবি, কর।’ ট্রেনের যাত্রীদের বাড়ির দুয়ারে পৌঁছে দিতে সরকারি পরিবহন সংস্থা অসংখ্য অত্যাধুনিক ইলেকট্রিক শার্টল বাসের ব্যবস্থা করেছে। বিশ্বকাপ থেকে ১৩ লাখ পর্যটক দেশে ফিরে গেলে এত সংখ্যক ট্রেন-বাস চালানো লোকসানি প্রকল্প হয়ে যাবে কিনা তা নিয়ে কৌতূহল থাকছে। ৩০ লাখ বিত্তবান জনসংখ্যার রাষ্ট্রে ট্রেনের যাত্রী সহজলভ্য নয়! মেট্রো আর বাস রক্ষণাবেক্ষণে কাতারিদের পরম যত্ন আমাকে মুগ্ধ করেছে। স্টেশন, মেট্রোর কম্পার্টমেন্টে রক্ষণাবেক্ষণের কর্মীরা এতটাই যত্নশীল যে ফ্লোরের হালকা দাগ তুলতে যেভাবে কসরত করে তা দেখে দেশের কথা মনে পড়ে যায়।
দেশে অনেক আধুনিক প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে, হচ্ছে। বিজয়ের এ মাসেই ঢাকায় চালু হচ্ছে মেট্রোরেল। তাকিয়ে আছি আমাদের মেট্রো’কে পরিচ্ছন্ন রাখতে কর্তৃপক্ষ বা সাধারণ জনগণ কি করে। দায়িত্বটা দ্বিপাক্ষিক। মধ্যপ্রাচ্যের বুকে দুবাইয়ের পর কাতার বা দোহাকে দ্বিতীয় কসমোপলিটান সিটি বানাতে কাতারিদের চিন্তার অগ্রসরতাও মুগ্ধ করেছে। বিদেশিদের জন্য কাতারে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি বা নাগরিকত্ব দেয়ার প্রথা নেই। তবে অভিজ্ঞ, শিক্ষিত ও যোগ্য জনশক্তিকে বরাবরই স্বাগত জানায় কাতার।
ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইউরোপ, আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অসংখ্য দক্ষ জনশক্তি আমদানি করে গড়া হচ্ছে দেশের অবকাঠামো। কাতারের তরুণ প্রজন্মও যে আধুনিক পৃথিবীর সাথে তাল মেলাতে সক্ষম তার প্রমাণ এবারের বিশ্বকাপের সফল আয়োজন। শুরুতে সারা দুনিয়া সমালোচনা করলেও, এখন বিশ্বকাপ আয়োজনের গুণগান করতে শুরু করেছে। ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে কাতারই একমাত্র দেশ যে তার একটি শহরে আটটি স্টেডিয়াম গড়ে বিশ্বকাপের সব ম্যাচ আয়োজন করছে। একদিনে চারটি খেলাও মাঠে গড়িয়েছে। লাখ লাখ দর্শক কোন বিঘ্ন ছাড়াই এক স্টেডিয়াম থেকে আরেক স্টেডিয়াম ঘুরে একাধিক খেলা দেখেছে। এমন সাফল্য দক্ষ ও পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা ছাড়া ঘটানো সম্ভব!
স্টেডিয়ামে, মেট্রো স্টেশনে প্রবেশ ও নির্গমন এতটাই গোছালো আর শৃঙ্খলা মেনে হয় যে সময়সাপেক্ষ হলেও সম্পূর্ণ নিরাপদ। দর্শক আগমন ও নির্গমনের একাধিক পথ ও কিউ। সবাইকে অনেকটা পথ হেঁটে প্রধান গেটে যেতে হয়। ফলে প্রধান গেটে ভিড় কমে যায়, বেরুনোর ক্ষেত্রেই একই পদ্ধতি।
নাইন সেভেন ফোর স্টেডিয়ামে ব্রাজিল–সুইজারল্যান্ড ম্যাচ দেখে প্রেসকার্ড নিয়েও আমাকে স্টেডিয়াম ছেড়ে কোয়ার্টার কিলোমিটার দূরের মেট্রো স্টেশনের দরজায় পৌঁছুতে ঘণ্টাখানেক লেগেছে। পদদলিতের মতো দুর্ঘটনা এড়াতে এসব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা প্রথমে বুঝিনি। শুধু বিশ্বকাপ আয়োজনে নয়, সব ক্ষেত্রেই কাতার অনুসরণ করছে আধুনিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি। ২০২২ সালে এসে জীবনযাত্রা, শিক্ষাদীক্ষায় কাতার সত্যিই ইউরোপের যেকোনো শহরের সাথে যে কোনো সূচকে পাল্লা দিতে সক্ষম। এরচেয়েও মন কেড়েছে কাতার ও দোহার জীবনযাত্রা।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশটিতে অনেক ধর্ম এবং বর্ণের মানুষ বাস করে। তবে ইসলামি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল রাষ্ট্র কাঠামোয় ভিন্নধর্ম ও বর্ণের মানুষদের স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল, কাতার সম্পর্কে আমার ধারণা পাল্টে দিয়েছে। শুরুতে দ্বিধায় ছিলাম হাঁটু অনাবৃত রেখে প্রকাশ্যে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় হয়তো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি দেখতে হবে। তিন সপ্তাহ থাকার পরও এমন কোনো ঘটনা চোখে পড়েনি। ইউরোপীয়রা শর্টস, স্কার্টস পরে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আরবীয় তরুণীরা জিন্স টপসের পাশাপাশি বোরকা পরে রাস্তায় বেরুচ্ছে। কেউ তাকানো বা বক্রোক্তি করার ধৃষ্টতাও দেখাচ্ছে না।
মনে পড়ে ঢাকা শহরে একটু প্রথার বাইরে পোশাক পরে রাস্তায় নামলে একটা মেয়েকে কতটা অপদস্থ হতে হয়। নরসিংদীর সেই রেলস্টেশনে এক মেয়ের অপদস্থ হওয়ার ঘটনা তো কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। কাতারের যে সমাজ এবং জীবনযাত্রা দেখছি তাতে মনে হয়েছে পোশাক-আশাকের চেয়ে শালীনতা ও ব্যক্তি স্বাতন্ত্রের গুরুত্বই বেশি।
মিডিয়া সেন্টারে অনেক কাতারি তরুণীকে দেখেছি মুখ অনাবৃত বোরখা পরে সারাদিন কাজ করছেন, আবার সেন্টারের প্রার্থনালয়ে গিয়ে নামাজও পড়ছেন। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এবারই প্রথম মিডিয়া সেন্টারে নামাজের স্থান সংরক্ষিত দেখলাম। তবে পুরুষ ও মেয়েদের জন্য ভিন্ন আয়োজন। অনেকে বলছেন, বিশ্বকাপ চলাকালে কাতার সরকার হয়তো আইনের শিথিলতা এনেছেন। আমার তা মনে হয় না। কারণ একবার আইনে শিথিলতা আনলে পরবর্তীতে কঠোরতা প্রয়োগ করা যায় না।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে যে মেয়েরা কাজ করতে বাইরে বেরিয়েছে তারা নিশ্চয়ই বিশ্বকাপ শেষে অন্তঃপুরে স্বেচ্ছাবন্দিত্ব বরণ করবে না। কাতার এই মহাযজ্ঞ আয়োজন করেছে কোষাগার উজাড় করে। এর বিনিময়ে তারা সারা পৃথিবীকে দেখাতে চাইছে উদারতা ও আধুনিকতা মিলিয়ে তারা পর্যটক ও বৈদেশিক বিনিয়োগকারীর জন্য আদর্শ স্থান। এই ইমেজ গড়ে ওঠার পর তারা নিশ্চয়ই আবার পিছনে হাঁটবে না। বাংলাদেশের মতো উন্নয়ন প্রত্যাশী দেশের কাতারের কাছ থেকে শেখার আছে অনেক।
উচ্চাভিলাষী প্রকল্প বাস্তবায়নের পর তার সুষ্ঠ রক্ষণাবেক্ষণ, ব্যবস্থাপনা এবং সাশ্রয়ের কৌশলের পাশাপাশি বহুধর্মের উদার সমাজ ও জীবনযাত্রা নিশ্চিত করাও জরুরি। ধর্ম যে শুধু পোশাক আর কথার ফুলঝুরি নয় তা বুঝেছে আরব আমিরাত, এখন বুঝছে কাতারের শাসকরা, বুঝতে চাইছে সৌদি আরব। একদার ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ এখন হাঁটছে উল্টো পথে।
অনেকে হয়তো বলবেন, কাতারের মতো পেট্রোডলারের দেশে যা সম্ভব তা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়। এ উক্তি অর্থহীন। প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের খরচ এশিয়ার অন্যান্য দেশের চেয়ে কম নয়, কিন্তু ব্যবস্থাপনার ঘাটতি গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ’কে আগাতে দেয়নি। কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের বিরুদ্ধে জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগ আনা হয়।
তবে এবার এই দেশটাকে কাছ থেকে দেখার পর মনে হয়েছে, অভিযোগ যাই থাকুক, কাতার কিন্তু হাঁটছে সামনের দিকে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে এবং অবশ্যই উদার ধর্মীয় সমাজ গঠনের দিকে। ইসলামের অনুশাসন মেনেই তারা আধুনিক পৃথিবীর সাথে তাল মেলাচ্ছে।