রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না। তার মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা আন্দ্রি ইয়েরমাক বলেছেন: আমি মনে করি, কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে।
বুধবার ২৮ জুন বিবিসির প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইউক্রেনের কর্মকর্তা বলছেন, পুতিন সরকারকে আর বাঁচানো যাবে না। তার ক্ষমতা শেষ হতে যাচ্ছে।
ইয়েরমাক বলেন, ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেন যেসব পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে আসছে, সেগুলো এখন পুরো বিশ্বের কাছে স্পষ্ট। রাশিয়া একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। তাদের নেতা একজন অযোগ্য মানুষ, যার সাথে বাস্তবতার কোন সম্পর্ক নেই। বিশ্বকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে দেশটির সাথে যেকোন ধরনের গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলা অসম্ভব।
ইউক্রেনের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, রুশ কর্তৃপক্ষ যে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, তাতে পুতিন আর ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না বলে মনে করছেন তারা।
রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন গত শনিবার রুশ সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তিনি তার বাহিনী নিয়ে মস্কো অভিমুখে যাত্রা করেছিলেন। পরে বেলারুশের মধ্যস্থতায় সমঝোতা হওয়ার পর তিনি এই অভিযাত্রা বন্ধ করেন।
বিদ্রোহ থেকে সরে আসার পর গত সোমবার প্রথমবারের মত অডিও বার্তা দেন প্রিগোজিন। এতে তিনি দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে নয়, বরং প্রতিবাদ জানাতে মস্কো অভিমুখে যাত্রা করেছিল তার বাহিনী।
ইউক্রেন দাবি করছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এরপর ওয়াগনারের বিদ্রোহ, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ওয়াগনারপ্রধানের নিন্দা, এই সবকিছু মিলে পুতিনের টিকে থাকার বাকি সম্ভাবনাটুকুও ফুরিয়ে গেছে।