ইউক্রেনে ৩৬ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চলতি সপ্তাহে ইউক্রেন ও রাশিয়ায় বসবাসকারী অর্থোডক্স খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন উপলক্ষে এই যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।
রাশিয়ার অর্থোডক্স ধর্মগুরু কিরিলের আহ্বানের পর পুতিনের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হলো হয়েছে।
তবে এই যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন। এমনকি ভ্লাদিমির পুতিনের এই সিদ্ধান্তকে কৌশলগত চক্রান্ত বলেও আখ্যায়িত করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
মূলত রাশিয়া ও ইউক্রেনে বসবাসরত অর্থোডক্স খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা যেন নির্বিঘ্নে বড়দিন পালন করতে পারেন সেটি নিশ্চিত করতেই এ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অর্থোডক্স ক্রিসমাস সময়কালে যুদ্ধবিরতির এই রাশিয়ান ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রস্তাবিত এই যুদ্ধবিরতি হলো পূর্ব ডনবাস অঞ্চলে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর অগ্রগতি রোধ করা এবং মস্কোকে আরও সৈন্য আনার সুযোগ দেওয়ার একটি কৌশল।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক বলেন, দখল করা অঞ্চল থেকে রাশিয়াকে সরতে হবে এবং তখনই একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে। ভণ্ডামি নিজের কাছেই রাখুন।
তার দাবি পুতিন ইচ্ছে করে এ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন যেন পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে এটি মানতে বাধ্য করে। কারণ রাশিয়া দাবি করছে এটি একটি ‘মানবিক’ যুদ্ধবিরতি।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতির প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, পুতিন কি বলে এ নিয়ে মন্তব্য করতে আমি অনিচ্ছুক। আমার কাছে এটি বিস্ময়কর লাগছে। ২৫ ডিসেম্বর নতুন বছরের আগেও হাসপাতাল এবং চার্চে বোমা হামলা চালাতে পুতিন প্রস্তুত ছিলেন। এখন যুদ্ধবিরতির নামে পুতিন কিছু অক্সিজেন পাওয়ার চেষ্টা করছেন।