ত্রিনিদাদের টারউবায় কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে প্রথমবার আয়োজন করা হয়েছিল আন্তর্জাতিক ম্যাচ। নেমেছিল দর্শক ঢলও। কিন্তু নিকোলাস পুরানের ওয়েস্ট ইন্ডিজ পারেনি। ইতিহাসের সাক্ষী হতে আসা দর্শকরা দেখেছে ভারতের কাছে বড় হার। এমন হারে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাই রাগঢাক না রেখেই পুরান স্বীকার করলেন ব্যর্থতার কথা। নিয়ন্ত্রণহীন বোলিং, শৃঙ্খলাহীন পারফর্ম এবং টার্নিং ও মন্থর পিচের ওপর চাপিয়েছেন দোষ। সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোতে ফিরে আসার আশার কথাও শুনিয়েছেন অধিনায়ক।
‘দল হিসেবে এমন হার দুঃখজনক। মাঠে দর্শকদের ভিড় ছিল আশ্চর্যজনক এবং আমরা তাদেরকে হতাশ করেছি। খেলোয়াড়রাও খুব কষ্ট পাচ্ছেন। কিন্তু এটা টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। আমরা ফিরে আসার উপর চোখ রাখছি’, বলেছেন পুরান।
পাঁচ ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ৬৮ রানের বড় হার হজম করেছে স্বাগতিক উইন্ডিজ। শুরুতে ভারতকে নাগালে রাখলেও শেষ দুই ওভারে ৪০ রান দিয়েছে ক্যারিবিয়ান দুই বোলার। অনিয়ন্ত্রিত এই বোলিংয়ের দিকেই আঙুল তুলেছেন পুরান। ম্যাচে অধিনায়ক নিজেও ছিলেন ব্যর্থ, বড় রান তাড়ায় ফিরেছিলেন ১৮ রান করে।
‘১৮ ওভার চলাকালে ভারতের সংগ্রহ ছিল ১৫০ রান। আমরা অশৃঙ্খল ছিলাম এবং সেটার মূল্য চুকিয়েছি, এটা সতীর্থরাও জানেন। ১৯০ রানের লক্ষ্য সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। আমরা ভালো শুরুও পেয়েছিলাম কিন্তু ব্যাটাররা সেটা টেনে নিতে পারেননি। আমরা যখনই ম্যাচে ফেরার গতি পেয়েছি তখনই উইকেট হারিয়েছি এবং সেটার মূল্য চুকাতে হয়েছে।’
পাঁচ ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয়টি বাসেট্রেতে আগস্টে ১ তারিখ। পরের দিন একই মাঠে তৃতীয় টি-টুয়েন্টি ম্যাচ। চতুর্থ ও পঞ্চম টি-টুয়েন্টি ৬ ও ৭ তারিখ, লারিহিলিতে। সিরিজে ভারত ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে।