ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে পুলিশের গুলিতে নাহেল নামের এক কিশোর নিহত হওয়ার জেরে চলমান বিক্ষোভের তৃতীয় দিনে এখন পর্যন্ত ৬৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও বিক্ষোভকারীদের হামলায় আহত হয়েছে ২৪৯ জন পুলিশ সদস্য।
বিবিসি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের বেশিরভাগেরই বয়স ১৪ থেকে ২৮ বছর। প্যারিসে পুলিশের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও দোকান ভাংচুর করা এবং গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। এদিকে বিক্ষোভ সামাল দিতে ফ্রান্স জুড়ে ৪০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন।
তিনি বলেন, ব্যাপক নিরাপত্তা মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও একাধিক এলাকায় সহিংসতা ও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। বিক্ষোভকারীরা মার্সেইতে টাউন হল এবং লাইব্রেরির মতো মিউনিসিপ্যাল ভবন এবং প্যারিসের উত্তরে সেইন-সেন্ট-ডেনিস বিভাগে হামলা করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, দেশ জুড়ে অসংখ্য জায়গায় আগুন জ্বলছে, যার মধ্যে রয়েছে পূর্বাঞ্চলীয় শহর লিয়নে একটি ট্রাম ।
এদিকে নাহেলকে গুলি করা অফিসার নাহেলের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছায় হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই কারণে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ব্রাসেলসের সফর সংক্ষিপ্ত করবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে প্যারিসের উপশহর নানতেরে ট্রাফিক বিধি অমান্য করে গাড়ি চালানোর অভিযোগে নাহেলকে গাড়ি থামানোর নির্দেশ দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু নাহেল তাতে কর্ণপাত না করে গাড়ি নিয়ে সরে পড়ার চেষ্টা করলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন পুলিশ সদস্যরা। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নাহেলের। এর প্রেক্ষিতেই বিক্ষোভে নামে সাধারণ মানুষ।