বহুল প্রতীক্ষা শেষে বাংলাদেশে এসেছে বিশ্বকাপ ট্রফি। প্রাথমিক আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে প্রদর্শন করতে বঙ্গভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ট্রফিটি। এসময় ট্রফির সাথে ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) একটি প্রতিনিধি দল।
বঙ্গভবনে ট্রফি প্রদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রাশিদা খানম, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, রাষ্ট্রপতির ছেলে রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স দলের মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান লালি কারেম্বু ও কোকা-কোলা কোম্পানির ভারত ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার সভাপতি শংকেট রায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি সচিব, ক্রীড়া সচিব ও উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।
রাষ্ট্রপতি এসময় বাংলাদেশে ট্রফি নিয়ে আসায় ফিফাসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান। এরকম উদ্যোগের ফলে ফলে খেলোয়াড়, সংগঠক ও সমর্থকরা ফুটবলের প্রতি আরো বেশি উৎসাহিত হবে এবং বাংলাদেশের ফুটবল আগামীতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরো এগিয়ে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
বুধবার সকাল ১১টার কিছু পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশ্বকাপ ট্রফি বহনকারী ফিফার বিশেষ বিমান অবতরণ করে। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও কোকাকোলার কর্মকর্তারা ট্রফি গ্রহণ করেন।
ফিফা ও কোকাকোলার সৌজন্যে বাংলাদেশে এলো ট্রফি। অবশ্য এখনই সেটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে না। রাষ্ট্রপতিকে প্রদর্শনের পর সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদর্শনের জন্য নেয়া হবে ট্রফি।
২০১৩ সালে যে ট্রফিটা এসেছিল, সেটি ছিল আসল ট্রফির রেপ্লিকা। এবার আসছে আসল ট্রফি। বাংলাদেশে ৩৬ ঘণ্টা সফর শেষে আগামীকাল রাত ১২টা ১০ মিনিটে ফুটবল বিশ্বকাপ ট্রফি ২০২২ উড়াল দেবে পরবর্তী গন্তব্য পূর্ব তিমুরের উদ্দেশে।