সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবাষিকী উপলক্ষে তার সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রাশিদা খানম তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সকাল ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দিবসটি উদযাপনে টুঙ্গিপাড়ায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শিশু প্রতিনিধির বক্তব্য, বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকারবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, কাব্যনৃত্যগীতি আলেখ্যানুষ্ঠান এবং বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান এবং গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান বিতরণ করবেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি, বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আলাদা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কবিতা আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এছাড়া দেশের সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টায় রাজধানীর কলাবাগানে আতশবাজি উৎসব ও কেক কেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকীর প্রথম প্রহর উদযাপন করেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। সরকারি, বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতার এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।