বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ‘প্রিয় নানু ভাই ‘ শামসুল হক গাজীকে হারিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। জীবিতকালে যিনি ছিলেন পরীর একমাত্র ভরসার নাম।
নিজের পরম আশ্রয়স্থল ছিলেন নানাভাই। তাকে হারিয়ে স্বভাবতই ভেঙে পড়ার কথা পরীর। কিন্তু পরী বলছেন, নানার মৃত্যু তাকে পরিবারের বাকি সদস্যদের জন্য তাকে বট গাছ করে তুলেছে!
শনিবার সকালে নানার কবরের বেশ কয়েকটি স্থিরচিত্র নিজের ফেসবুকে দেন পরী। সেখানে নানাকে নিয়ে করেন স্মৃতিচারণ।
পরী লিখেন, “এই কবরস্থানে এখন তিনটা কবর। প্রথমটা আমার মায়ের। তারপর নানি আর এই যে আমার জানের মানুষটার কবর। নানু মরে যাওয়ার আগে নিজেকে আমার এতিম লাগে নাই কোনো দিন। এই জীবনে আমার নানার মতন কেউ আমাকে ভালোবাসে নাই আর। যারা আমাকে খুব কাছ থেকে চেনেন তারা সবাই জানেন এই মানুষটা আমার জন্যে কী ছিলো।”
পরী লিখেন, আজ হয়তো এই পরিবারের সবার থেকে ভেঙে পড়ার কথা ছিলো আমার। কিন্তু আমার নানা আমাকে সবার বট গাছ করে দিয়ে গেছেন।
নানার মৃত্যু শোকের চেয়ে বড় কোনো শোক জীবনে আসবে না জানিয়ে পরী আরো বলেন, “এর থেকে বড় কোনো শোক আমার আর আসবে না। যদি আসে সব শোক সহ্য করার ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দিবেন এটা আমার নানুর দোয়া। কতো ভাগ্যে আমি আমার নানুর সাথে তার শেষ কলেমা পড়তে পেরেছি! আহা নানুভাই কতো সান্ত্বনায় রেখে গেলো আমাকে। জীবন সুন্দর। মৃত্যু যে বড় সুন্দর!”
ছোটবেলায় মা-বাবাকে হারিয়ে পরীমনি বেড়ে ওঠেন ভাণ্ডারিয়ায় তার নানা বাড়িতে। সেখান থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন পরীমনি। পরীমনির ভাষ্য অনুযায়ী, নানা শামসুল গাজীই ছিলেন তার ‘অভিভাবক’। পরীমনি ঢাকায় স্থায়ী হলেও তার নানা শামসুল হক ভাণ্ডারিয়াতেই থাকতেন। তবে পরীমনির সুসময়-দুঃসময়ে বরাবর নাতনির পাশে দেখা গেছে তাকে।
শামসুল হক গাজীর বাড়ি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার সিংহখালী গ্রামে। পেশায় তিনি স্কুল শিক্ষক ছিলেন। সেখানেই পারিবারিক কবরস্থানে শুক্রবার তার দাফন সম্পন্ন হয়।