চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আধুনিক প্রযুক্তি-প্রশিক্ষণে ৯৫ শতাংশ মামলা নিষ্পত্তি করছে পুলিশ

ক্র্যাব কার্যনির্বাহী কমিটি-আইজিপি সৌজন্য সাক্ষাৎ

পুলিশ মহাপরিদর্শক(আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, আগে কোনো মামলা তদন্ত করতে হলে সোর্সের উপর নির্ভর করতে হতো। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা, তদন্ত সংক্রান্ত আধুনিক প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন আধুনিক সরঞ্জামাদির সংযোজন ও জনবল বৃদ্ধিসহ সব কিছু মিলে তদন্তে আমরা এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছি যে, পুলিশ এখন ৯৫ শতাংশ শনাক্ত করা যায়নি এমন মামলা নিষ্পত্তি করেছে।

বুধবার ৩১ মে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের(ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব প্রাইডে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, পুলিশের সঙ্গে অপরাধ বিষয়ক রিপোর্টারদের সংগঠন ক্র্যাবের সঙ্গে একটা ভাল সম্পর্ক রয়েছে। পরস্পর আমরা অনেক কাজও করি। নির্বাচনী ডিউটিতে পাশাপাশি কাজ করে থাকি। দায়িত্বের চেয়ে তাই পারস্পারিক প্রত্যাশাটাও আমাদের বেশি।

চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বর্তমানে পুলিশের সোর্স অব ইনফরমেশন হলো সাংবাদিক, আর সাংবাদিকদের পুলিশ। তাই পুলিশ ও সাংবাদিকদের মধ্যে যোগাযোগটা বেশি দরকার। যোগাযোগ বেশি হলে পেশাগত দায়িত্ব পালন সহজ হয়। একটা মামলা হলে যতো কিছুই বলি না কেন সেটা পুলিশকে তদন্ত করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে আমরা বলি সাংবাদিকরা এই নিউজ, ওই নিউজ না করলেও পারতো। আমি মনে করি, সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেয়া উচিত না। সাংবাদিক ও পুলিশের উদ্দেশ্যই হচ্ছে সমাজের বিভিন্ন অনিয়ম দূর করা। সেজন্য আমাদের পারস্পারিক সহযোগিতা ও যোগাযোগ বেশি দরকার।

ক্র্যাব নেতৃবৃন্দের কাছে সার্বিক সহযোগিতার প্রত্যাশা রেখে পুলিশ প্রধান বলেন: অনেক জায়গায় অনেক গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব থাকে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে তা পছন্দ করি না। ঢাকার বাইরে কাজের সময় কখনো আমার প্রেসের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়নি। সাংবাদিক বন্ধুদের সার্বিক সহযোগিতা ও আস্থা আমি অর্জন করেছি।

ক্রাইম রিপোর্টারদের জন্য পুলিশের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন: সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ক্র্যাব কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। সাংবাদিকদের কারণেই আজকে পুলিশের ভাল দিকগুলো প্রকাশ পাচ্ছে, বাড়ছে পুলিশ প্রীতি। সম্প্রীতির যেন বন্ধন সেটা জনগণের সঙ্গে আরও সুদৃঢ় হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে সাংবাদিকরা রিপোর্টিং করে থাকেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও বাংলার সাংবাদিকরা কলম দিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন। আমাদের সেই পূর্বশ্মরীদের পথ ধরেই বর্তমান সাংবাদিকরা এগিয়ে যাচ্ছেন। আগামী দিনেও উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।

ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল বলেন, কাজের ধরণ ও বাস্তবতার প্রেক্ষিত থেকেই পুলিশের সঙ্গে বেশি যোগাযোগ রাখতে হয় ক্রাইম রিপোর্টারদের। পুলিশও ক্রাইম রিপোর্টারদের বন্ধু মনে করেন। বাংলাদেশে ক্রাইম রিপোর্টিং এর ক্ষেত্রে ক্র্যাব পেশাগত মানোন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। অনেক কল্যাণমূলক ও প্রশিক্ষণের কর্মসূচি পালন করে থাকি।

এবার আমরা ক্রাইম রিপোর্টারদের এক মাত্র সংগঠন ক্র্যাবের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করবো। এ উপলক্ষ্যে সার্বিক সহযোগিতা ও ক্র্যাব-আইজিপি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড চালুর অনুরোধ জানান তিনি।

ক্র্যাব কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক মামুনূর রশীদ বলেন, প্রেসক্লাবের পর বাংলাদেশে প্রথম কোনো বিটভিত্তিক সংগঠন হচ্ছে ক্র্যাব। মূলধারার গণমাধ্যমের ক্রাইম রিপোর্টাররাই এর সদস্য। আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছরে পুলিশের যে বিবর্তন তাতে রয়েছে ক্রাইম রিপোর্টারদের অবদান।

এসময় অনুষ্ঠানে পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ক্রার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।