জনপ্রিয় নির্মাতা কাজল আরেফিন অমির ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের কাবিলা চরিত্র দিয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন জিয়াউল হক পলাশ। এই নাটকের কাবিলা চরিত্র দিয়ে দেশের মানুষের কাছে পরিচিত তিনি। একইভাবে নারীদের কাছেও নাটকের গল্পে কাবিলার চাঞ্চল্যতা মুগ্ধ করে!
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ কাবিলার সঙ্গে ফোনে রোকেয়া নামের একটি চরিত্রের প্রেমালাপ, শাসন, খুনসুটি আনন্দ দেয় দর্শকদের! গত তিন বছরে একটি বারও কাবিলার সঙ্গে নাটকের স্ক্রিনে দেখা যায়নি রোকেয়া চরিত্রের, অথচ সোশ্যাল মিডিয়ার কাবিলা-রোকেয়ার প্রেম নিয়ে শোরগোল পড়ে প্রায়ই!
পর্দার কাবিলা বাস্তবে পলাশ সম্প্রতি বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রীর নাম নাফিসা রুম্মান মেহনাজ। নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে স্নাতক সম্পন্ন করে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর করছেন তিনি। পাশাপাশি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।
শুক্রবার দুপুরে পলাশের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার পর তারই মেন্টর পরিচালক কাজল আরেফিন অমি তার পেজে আশার্বাদ জানিয়ে একটি পোস্ট করেন। যা রাীতিমত ভাইরাল!
তবে ‘হিউজ ফ্যান বেইজ’ থাকায় অধিকাংশ নেটিজনরা লিখছেন, পলাশ ওরফে কাবিলার বিয়েতে মন ভেঙেছে শত শত নারীর।
এমনকি ছোটপর্দার আরেক নামী নির্মাতা শিহাব শাহীনও এ বিষয়ে টিপ্পনী কেটেছেন! তিনি অমির পোস্ট করা সেই ছবির নিচে মন্তব্য লেখেন, ‘পলাশের বিয়ের খবরে নিশ্চয়ই অসংখ্য নারীর মন ভেঙে যাবে।’
তবে পলাশের বিয়ের খবরে সবচেয়ে বেশী মন্তব্য চোখে পড়েছে রোকেয়াকে নিয়ে! বেশিরভাগই শুভেচ্ছা জানিয়ে মজা করে লিখেছেন, ‘রোকেয়ার কি হবে?’ কেউ কেউ লিখছেন, ‘আহারে রোকেয়া।’ আবার লিখছেন, তাহলে এখন ইভার কী হবে? আহারে রোকেয়া, আহারে ইভা!
পলাশের দূরসম্পর্কের আত্মীয় ছিলেন নাফিসা রুম্মান মেহনাজ। পূর্বপরিচিত থাকায় পলাশ তার বাবা মায়ের পছন্দেই নাফিসাকে বিয়ে করেন।
বিয়ের বিষয়টি জানিয়ে পলাশ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, বাবা মায়ের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে বিয়ে করেছি। আলহামদুলিল্লাহ্, দাম্পত্যজীবনে আমরা ভীষণ সুখে আছি। সবার কাছে দোয়া চাই, জীবনের বাকিটা সময় যেন পরষ্পরের অপরিহার্য হয়ে একসঙ্গে থাকতে পারি।
পলাশ আরও জানান, ঘরোয়া পরিসরে অনাড়ম্বর আয়োজনে তার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। বিয়েতে দুই পরিবারের সদস্যরা ছাড়া কেউ ছিলেন না। আগামী ফেব্রুয়ারিতে বড় পরিসরে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করার পরিকল্পনা আছে তাদের।