কয়েকদিন আগেই ক্লাবের সঙ্গে আলোচনার পর পিএসজি ছাড়তে চেয়েছিলেন কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো। সেই পথে না হেঁটে শেষ পর্যন্ত তাকে বরখাস্ত করেছে ক্লাবটি। শেষ মৌসুমে ৫০ বর্ষী এ আর্জেন্টাইনের অধীনে লিগ ওয়ান জিতলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ব্যর্থতায় তাকে ছেটে ফেলা হলো।
পিএসজির পক্ষ থেকে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না আসলেও ইএসপিএন-সহ একাধিক গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে, চুক্তির এক বছর বাকি থাকতেই পচেত্তিনোকে প্যারিস ছাড়তে হচ্ছে।
২০১৯ সালের শেষ দিকে টটেনহ্যাম থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর পচেত্তিনোকে গত বছরের জানুয়ারিতে পিএসজির কোচ নিযুক্ত করা হয়েছিল।
ফরাসি ক্লাবটি নতুন কোচ নিয়োগের চেষ্টা করছে। পচেত্তিনোর স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, তা নিয়ে আগে থেকেই চলছে জোর আলোচনা। সবচেয়ে বেশি জিনেদিন জিদানের নামই শোনা যাচ্ছে। ফ্রেঞ্চ কিংবদন্তিকে লিগ ওয়ানের চ্যাম্পিয়নদের কোচ হিসেবে দেখতে চেয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
ভবিষ্যৎ কোচ হওয়ার ক্ষেত্রে জিদানের পাশাপাশি আরও দুইজনের নাম উঠে এসেছে। তারা হলেন – রোমার দায়িত্বে থাকা হোসে মরিনহো এবং ফ্রেঞ্চ ক্লাব নিসের কোচ ক্রিস্টোফ গাল্টিয়ার।
সেভিলার কোচ জুলেন লোপেতেগুইকেও প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। রিভার প্লেটের মার্সেলো গ্যালার্দো এবং স্পোর্টিংয়ের রুবেন আমোরিমের নাম সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে।
জানা গেছে, পিএসজির কোচ হিসেবে স্পোর্টিং ডিরেক্টর লুইস ক্যাম্পোসের প্রথম পছন্দ গাল্টিয়ার।
২০২১ সালের গ্রীষ্ম মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্ব ছাড়া জিদান আর কোনো ক্লাবে যোগ দেননি। দিদিয়ের দেশম চলে গেলে তার স্থলে জাতীয় দলের কোচ তিনি হতে চান বলে আগেই জানিয়েছিলেন। একইসঙ্গে বলেছিলেন, পিএসজির কোচ হওয়ার সম্ভাবনা তার কম।
স্প্যানিশ গণমাধ্যমে সম্প্রতি খবর বেরিয়েছিল, ক্লাবটির মালিকদের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করতে কাতারে গেছেন ফুটবল মাঠের এক সময়ের মহাতারকা। তবে খবরটি ভুয়া বলে উড়িয়ে দেন ফ্রেঞ্চম্যানের উপদেষ্টা মিগ্লিয়াসিও। তার ভাষ্য ছিল, ‘পিএসজির সঙ্গে চুক্তিবিষয়ক সব গুজব ভিত্তিহীন। পিএসজি মালিক সরাসরি আমার বা জিদানের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।’