জুলাই মাস প্লাস্টিকমুক্ত পালনের জন্য রাজধানীর ঢাকার বিভিন্ন স্থানে দিনব্যাপী মোবাইল ক্যাম্পেইন আয়োজন করেছে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো)।
শনিবার ৮ জুলাই প্লাস্টিক দূষণের অবসান ঘটানোর প্রয়োজনীয়তাকে উদ্দেশ্য করে, ‘প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এগিয়ে আসুন’-উক্ত সচেতনতা মূলক বার্তাটি প্রদানের মাধ্যমে কার্যকরীভাবে এই ক্যাম্পেইনটি পরিচালনা করা হয়।
মোবাইল ক্যাম্পেইনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গনে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্লাস্টিকের ব্যবহার ও এর প্রভাব নিয়ে জনগণের মতামতও জানতে চাওয়া হয়। বেশির ভাগ জনগণই এসডোর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং পরিবেশের ওপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা অবিলম্বে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের উৎপাদন বন্ধ করতে এবং এর বিকল্প পণ্যগুলো সহজলভ্য করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানান।
দিনব্যাপী এই মোবাইল ক্যাম্পেইনে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিলো। যদিও অনেকেই প্রাথমিকভাবে গ্লোবাল প্লাস্টিক চুক্তি সম্পর্কে অবগত ছিল না, কিন্তু তাদেরকে এটি সম্পর্কে অবহিত করার পরে, চুক্তিটির প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছে। ক্যাম্পেইনটি টি এস সি থেকে শুরু করে জাতীয় প্রেস ক্লাব হয়ে হাতিরঝিল, গুলশান, সংসদ ভবন হয়ে, সবশেষে বিকাল ৫:৩০ এ ধানমণ্ডি লেকে এসে শেষ হয়।
প্লাস্টিক মুক্ত জুলাই হল প্লাস্টিক ফ্রি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে একটি উদ্যোগ। এটি একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলন যার লক্ষ্য প্লাস্টিক বর্জ্যমুক্ত বিশ্ব তৈরি করা। ২০১১ সালে প্রথম এই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছিল। পুরস্কার বিজয়ী এই প্লাস্টিক মুক্ত জুলাই অভিযানটি কয়েক বছর ধরে আলোচনায় এসেছে, যা সাধারণ জনগণকে প্লাস্টিক ব্যবহার কমিয়ে, আমাদের মাটি, সমুদ্র এবং সম্প্রদায়কে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখতে উদ্বুদ্ধ করেছে৷
প্লাস্টিক তৈরিতে ব্যবহৃত বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থগুলো ফেলে দেওয়ার পর পরিবেশে ছড়িয়ে পরে। সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে জানা গেছে যে, ১৩,০০০ এরও বেশি রাসায়নিক পদার্থ প্লাস্টিক এবং প্লাস্টিক তৈরির সাথে বিভিন্নভাবে জড়িত আছে। এসব ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থগুলো খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে।