কাতার বিশ্বকাপের টিকিট কাটার লড়াইয়ে সোমবার রাতে দোহায় মুখোমুখি হচ্ছে পেরু-অস্ট্রেলিয়া। দেশকে বিশ্বকাপে দেখার আশায় গ্যালারিতে আওয়াজ তুলতে এরইমধ্যে দোহায় অবস্থান নিয়েছে ১২ হাজার পেরুভিয়ান সমর্থক।
আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে সোমবার রাত ১২টায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে-অফ ফাইনালে মাঠে নামবে দু’দল। পেরুর ১২ হাজার সমর্থকের বিপরীতে মাঠে থাকবে অস্ট্রেলিয়ার কেবল ৫০০ সমর্থক। পেরুর লাল-সাদা সমুদ্রে যেন হারিয়েই যাবে অজি সোনালি-সবুজ রঙের জার্সি।
পেরুর ৩.৫ মিলিয়ন নাগরিক ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে আছে। যারা পেরুকে সমর্থন দিতে মুখিয়ে থাকে। কাতারেও সেই অবস্থা হতে চলেছে। যারা নিজেদের ‘পে-রোস’ বলে ডাকছে এবং মাঠে বসে খেলা দেখতে মুখিয়ে আছে।
মাঠে বসে গলা ফাটিয়ে পেরুকে বিশ্বমঞ্চে তুলেতে উদগ্রীব সমর্থক দল, শুক্রবার টিম হোটেলে পৌছাঁনোর সময় পেরু-পেরু স্লোগানে চারপাশ মাতিয়ে রেখেছিল তারা। সিডনিসাইডরি অ্যাড্রিয়ান ব্রেটের কথায় যা স্পষ্ট।
‘আমরা আত্মবিশ্বাসী, ম্যাচের দিন যথেষ্ট আওয়াজ করার ব্যাপারে। দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট সমর্থন সংগ্রহ করতে পারব। যদিও আমাদের কাছে মেগাফোন নাও থাকতে পারে, তবে আমরা বাইরে থেকে সমর্থন দিতে হুইসেল এবং এয়ার-হর্ন কিনেছি, আমরা সোমবার রাতে প্রচুর শব্দ করব এবং দলকে জিতিয়ে নিয়ে আসব।’
পিছিয়ে নেই অজিরাও, যেকোনো মূল্যে দলকে বিশ্বকাপে নিয়ে যেতে চায় তারা। এতদূর এসে হেলায় কাতারের টিকিট হাতছাড়া করতে চান না দলটির ফুটবলাররাও। অজি অধিনায়ক ম্যাটি রায়ানের কথায় মিলছে সেই আভাস।
‘আমরা যতবেশি সমর্থন পাবো, তত ভালো। সমর্থকরা সবসময় পার্থক্য গড়তে ভূমিকা রাখে। আমরা অস্ট্রেলিয়ানদের উৎসাহিত করেছি। অস্ট্রেলিয়ার সাথে সংযোগ আছে এমন কাউকে মাঠে আসতে বলছি। আমাদের আরও বেশি করে সমর্থন দিন। দলের পেছনে থেকে আমাদের যতটা সম্ভব সমর্থন করুন এবং আমাদের সাথে উল্লাসে যোগ দিন।’