দলের পদধারী ও নেতা-কর্মীদের নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করার কোন সুযোগ নেই বলে দাবি করেছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। বুধবার ৬ ডিসেম্বর সকাল ১১ টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগ দেয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ দাবি করেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, আমি মনে করি, দলের কোন নেতা কর্মী দল বা নৌকার বাইরে কাজ করার কোন সুযোগ নেই। যারা দলের আদর্শ মেনে চলে তাদের অবশ্যই নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে। এই নৌকাকে আমরা বলি হক ভাসানীর নৌকা, এই নৌকা বঙ্গবন্ধুর নৌকা, এই নৌকা আওয়ামী লীগের নৌকা, এই নৌকা শেখ হাসিনার নৌকা। তাই নৌকার বাইরে কাজ করার সুযোগ নেই।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দল থেকে বহিষ্কার হওয়া একটি বিষয়। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, দলের আদর্শের প্রতি অটুট থেকে, অবিচল থেকে, কমিটেড থেকে আদর্শের জন্য কাজ করা। নৌকা হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রতীক, অসাম্প্রদায়িক সমাজ ব্যবস্থা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র। ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে কোন সাম্প্রদায়িকতার সাথে কোন দিন আপোষ করেনি, গনতন্ত্রের সাথে কোন আপোষ করেনি। আমরা চাই ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। একটি সুন্দর সুষ্ঠ আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ।
আগামী নির্বাচনে দলের ইশতিহারে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বড় চমক থাকার কথাও জানিয়েছেন মন্ত্রী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, অর্থনীতির ক্ষেত্রে বৈষম্য গুচিয়ে মানুষের মধ্যে ধনী গরীবের যে পার্থক্য সেটিকে কমিয়ে নিয়ে আসা। মনআমরা সামনের দিনে কিভাবে দেশের অর্থনীতিকে পুর্নজীবিত করবো, আবার আগের ধারায় শক্তিশালী করবো আমরা সেই বিবেচনা রেখে নির্বাচনে যাচ্ছি। জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সিদ্ধান্ত নেবো কিভাবে দল ও নৌকার প্রার্থীকে বিজয় করা যায়। আমাদের সাফল্যের, অর্জনের ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিক কিভাবে মানুষের মাঝে তুলে ধরবো তা নিয়ে আলোচনা করবো। আমাদের কি উদ্দেশ্যে, কি অঙ্গীকার ও কি লক্ষ তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। কৃষি, শিক্ষা, সেবা প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা আমরা রক্ষা করতে চাই।
এ সময় দলীয় প্রধানের বক্তব্যে নেতা-কর্মীদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দে বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের স্বার্থে হয়তো বলেছে, প্রতিযোগিতার জন্য বলেছে। কিন্তু তিনি বলেন নাই, নৌকা বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী বা অন্য প্রার্থীর জন্য কাজ করতে হবে। নৌকার বাইরে যারা নির্বাচন করছে, আমার দৃষ্টিতে তারা অবশ্যই বিদ্রোহীপ্রার্থী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) এমপি, সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজাহান আনছারী প্রমুখ।