অভিনেতা হিসেবে দেশ ও প্রবাসীদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় জিয়াউল হক পলাশ। সবার কাছে তিনি ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ এর প্রাণভোমরা কাবিলা! তবে অভিনয় পরিচিত এনে দিলেও পলাশের শিকড় আটকে নির্মাণে। তাই সুযোগ পেলে নির্মাণে নেমে পড়েন কাবিলা।
এর আগে তিনি বানিয়েছেন একাধিক নাটক, টিভিসি ও গান ভিডিও। যেগুলোর মাধ্যমে নির্মাতা হিসেবে মেধার সিগনেচার রেখেছেন পলাশ।
নতুন খবর হচ্ছে, বিরতি কাটিয়ে আবারও নাটক নির্মাণে ফিরছেন তিনি। যে নাটকটির নাম ‘সন্ধ্যা ৭টা’।
আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে, পলাশ পরিচালিত এ নাটকে অভিনয় করলেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের ইভা চরিত্রের পারসা ইভানা।
নাটকটির প্রেক্ষাপট গ্রামীণ। ‘সন্ধ্যা ৭টা’য় গ্রামে অনেক কিছু ঘটে। তেমন এক সত্য ঘটনার প্রেক্ষাপট তুলে নিজের নির্মাণ মুন্সিয়ানায় দেখাবেন পলাশ। তিনি জানালেন, অনেক আগে পত্রিকায় একটি ঘটনা জানতে পারেন। গল্পের থিম সেখান থেকে নেয়া। চিত্রনাট্য করেছেন কাজল আরেফিন অমি।
এতে অভিনয় করেননি পলাশ। চ্যানেল আই অনলাইনকে বললেন, নির্মাণের পূর্ণ মনোযোগ দিতে অভিনয় করিনি, নির্মাণ অভিনয় একসঙ্গে করলে যেন কাজে বিঘ্ন না ঘটে। তবে নিজের ডিরেকশনে ‘একটু খানি’ ও ‘ফ্রেন্ড উইথ বেনিফিট’-এ ছোট্ট চরিত্রে করেছি, তাও উপায় না দেখে।
এবারই প্রথম পলাশের পরিচালনায় অভিনয় করলেন ইভানা। তার চোখে অভিনেতা ও নির্মাতা পলাশ দুজনে দুই মেরুর বাসিন্দা! পলাশের মতো ঠাণ্ডা মাথার পরিচালক কম দেখেছেন তিনি।
উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ইভানা বলেন, অভিনেতা পলাশ ও ডিরেক্টর পলাশের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ। কাজ না করলে এটা কেউ বুঝবে না। ইভেন আমিও আগে বুঝিনি। রাতের পর রাত সে না ঘুমিয়ে সে যেভাবে কাজ করেছে এটা একেবারে নিবেদিত প্রাণ কেউ ছাড়া পারবে না। গল্পে সে আমাকে অন্যরকম ভাবে প্রেজেন্ট করেছে। আমরা সবাই ভালো করার চেষ্টা করেছি। বাকিটা নাটক দেখলে দর্শক বুঝতে পারবেন।
আকবর হায়দার মুন্নার প্রযোজনায় ক্লাব ইলেভেনের ইউটিউবে ‘সন্ধ্যা ৭টা’ আসন্ন ঈদে প্রচার হবে। এতে আরো অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ, ব্যাচেলর পয়েন্টের অভিনেতা পাভেল, মুসাফির বাচ্চু, এরফান মৃধা শিবলু, মনিরা মিঠু, শামীমা নাজনীন, আবদুল্লাহ রানা প্রমুখ।
পরিচালক পলাশ জানান, ইভানা, পাভেল ইরফান সাজ্জাদদের আগে কো-আর্টিস্ট হিসেবে পেয়েছেন। কিন্তু নির্মাতার চোখে তারা কেমন সেই অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম হলো তার।
পলাশ বলেন, নির্মাতা হিসেবে যখন ব্রিফ দিয়েছি, আর্টিস্ট হিসেবে তারা তাৎক্ষণিক সবকিছু বুঝে রিয়েকশন দিয়েছে। এতে করে পরিচালক হিসেবে আমার কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। তখন আমি বিশ্বাস করেছি আর্টিস্টরাও আমার কাজটিকে সঠিকভাবে রেসপন্স করেছে। প্রত্যেক অভিনেতাই আমাকে এই কমফোর্ট দিয়েছে।