মুশফিকুর রহিমের ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউটকে ঘিরে ফিক্সিংয়ের সন্দেহ পোষণ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ৭১ টিভির নিয়মিত অনুষ্ঠান খেলাযোগ এর ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে। প্রশ্নবিদ্ধ প্রতিবেদনটি নিয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটার। বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি’র সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও জানালেন চ্যানেলটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা।
শনিবার মিরপুরে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট সিরিজ শেষে মিডিয়ার মুখোমুখি হন বিসিবি প্রধান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনি যে ঘটনাটা বলছেন, দেখেন চিন্তা-ভাবনা পরিবর্তন হচ্ছে। একটা সময় ভুল তথ্য দিলেই মানুষ বেশি খেত। কিন্তু এখন দেখেন… আপনারা তো সাংবাদিক, খোঁজ নিয়ে দেখেন। এই সমস্ত মিথ্যাচার করতে করতে মানুষ কিন্তু এখন উল্টা কথাও বলছে। মানুষ বলছে, এরা তো ক্রিকেট ধ্বংস করতে নেমেছে। আমরা এটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম, মানুষ জানুক। তারপর বিসিবি যা করার তা তো করবেই।’
মুশফিকের নামে একটি মিডিয়ার মিথ্যা অপবাদ দেয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে বিসিবি। নাজমুল হাসান আরও বলেন, ‘ক্ষমা চাওয়াতেই কি বিষয়টা শেষ? মানে ক্ষমা চেয়ে নিলাম বিষয়টা শেষ? দেখেন এখানে দুটো পার্টি আছে। একটা হচ্ছে ভিকটিম আর একটা হচ্ছে আমরা (বিসিবি), মানে যাদের ওপর ক্রিকেটাররা মানে ভিকটিমরা নির্ভর করে। তো ভিকটিম নিজের কাজটা করেছে। আমি শুনেছি এটা নিয়ে হয়তো কোনো একটা পদক্ষেপ নিয়েছে মুশফিক। এখন বিসিবির যা করা দরকার বিসিবি করবে।’
‘আমি কালকেই প্রথম বোর্ডে এসেছিলাম। এসে উনাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি আমার মতামতটা উনাদের জানিয়ে দিয়েছি। আপনাদের আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। মানে আমরা কী করব সেটা জানার জন্য কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে।’
অতীতে বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনে ক্রিকেটারদেরও শাস্তি দিয়েছে নাজমুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বিসিবির কমিটি। সে প্রসঙ্গটি তোলা হলে বিসিবি প্রধান বলেন, ‘যে কাউকে শাস্তি যখনই দিয়েছি, সারা দেশের মানুষ আমাকে শেষ করে দিয়েছে। মানুষ চায় না এসব, আমিতো এতদিন তাই জানতাম। কেউ কি আমাদের সাপোর্ট করেছে কখনো, কোনো একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার পরে। আমরা অপেক্ষা করছিলাম। এই জাগরণটা উঠুক।’