চারশ রান করেও হারতে হবে, হয়তো ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেনি নিউজিল্যান্ড! তবুও দুর্ভাগ্যই বরণ করতে হয়েছে কেন উইলিয়ামসনদের। যে হারে বড় ভূমিকা রেখেছে বেরসিক বৃষ্টিও। কিউইদের হারিয়ে আবার সেমিফাইনালে খেলার আশা তাজা হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের। অবশ্য সেমিতে খেলার পথ বন্ধ হয়নি নিউজিল্যান্ডেরও।
বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে শনিবার বাঁচামরার ম্যাচে হিমালয়সম ৪০২ রান তাড়া করতে নেমে ৬ রানে ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিককে হারিয়ে চাপে পড়েছিল পাকিস্তান। সেখান থেকে হাল ধরেন অধিনায়ক বাবর আজম ও ফখর জামান। শেষপর্যন্ত ম্যাচে বৃষ্টি আইনে নিউজিল্যান্ডকে ২১ রানে হারিয়ে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি, ঝড়ো সেঞ্চুরিতে অবদান রাখেন ফখর।
তাতে ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে এখন পাকিস্তান। সমান ম্যাচ ও পয়েন্ট নিয়ে চারে নিউজিল্যান্ড। এক ম্যাচ কম খেলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তাদের সঙ্গে সেমির দৌড়ে টিকে আছে আফগানিস্তানও।
৭ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ভারত ও ১২ পয়েন্ট নিয়ে সাউথ আফ্রিকা সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে আগেই। সমান ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে অস্ট্রেলিয়া। অজিদের সেমিফাইনাল এখনও নিশ্চিত না হলেও ভালো অবস্থানে আছে তারা।
সেমিতে খেলার টিকিট পেতে পাকিস্তানকে লড়তে হবে নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের সঙ্গে। যে লড়াইয়ে জিততে হলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে জয় তুলতে হবে বাবরদের। জেতার পর তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি দুদলের দিকে। নিউজিল্যান্ড তাদের শেষ ম্যাচে খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বেঙ্গালুরুতে। যে ভেন্যুতে কোনো সংস্করণেই এপর্যন্ত কোনো ম্যাচ জেতেনি কিউইবাহিনী।
শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে যদি কিউইরা ১ রানে জয়ী হয়, তাহলে ইংল্যান্ডকে কমপক্ষে ১৩০ রানে হারাতে হবে রিজওয়ান-বাবরদের। আফগানিস্তানের শেষ দুটি ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া ও সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে। আফগানিস্তানকে তাদের দুই ম্যাচই হারতে হবে, অথবা অন্তত একটি ম্যাচে হারতে হবে আফগানদের। একইসঙ্গে নেট রানরেটে পাকিস্তানের পেছনে থাকতে হবে মুজিব-রশিদদের। তাহলেই সেরা চারের দুয়ার খুলতে পারে পাকিস্তানের সামনে।