বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি সিরিজ জয় ভারতের বিপক্ষে ইতিবাচক পারফরম্যান্সের আশা জুগিয়েছিল জিম্বাবুয়েকে। তবে প্রথম ম্যাচে তার ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারল না স্বাগতিকরা। বোলিং-ব্যাটিং দুই ডিপার্টমেন্টে ব্যর্থ হয়ে বড় ব্যবধানে হেরেছে রেগিস চাকাভার দল।
হারারে স্পোর্টস গ্রাউন্ডে বৃহস্পতিবার জিম্বাবুয়েকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। ২৭ রানে ৩ উেইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন দিপক চাহার।
পুরো বাংলাদেশ সিরিজের মতো এদিনও ব্যর্থ হয়েছে জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৩১ রানেই প্রথম চার উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্লকে সাথে নিয়ে লড়াইয়ের আভাস দিয়েও ব্যর্থ হন অধিনায়ক রেগিস চাকাভা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে জোড়া সেঞ্চরি করা রাজাকে ১২ রানে ফেরান প্রসিধ কৃষ্ণ। ১১ রানে বার্লকে শুভমনের ক্যাচ বানান ডানহাতি পেসার। চাকাভাকে ৩৫ রানে সাজঘরে ফেরান অক্ষর প্যাটেল। শেষদিকে ব্র্যাড ইভান্স ও রিচার্ড এনগাভারার ৭০ রানের জুটিতে ১৮৯ রানের সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা।
৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ রান করে এনগাভারা আউট হন প্রসিধের বলে বোল্ড হয়ে। ২৯ বলে ৩৩ রান করে ইভান্স শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। অক্ষর প্যাটেল ও প্রসিধ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন।
শুভমন গিল ও শেখর ধাওয়ানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১৯০ রানের লক্ষ্য কোনো উইকেট না হারিয়েই পেরিয়ে যায় ভারত। ১০ চার ও ১ ছক্কায় ৭২ বলে ৮২ রান করেন গিল। উইকেটের অপর প্রান্তে ধাওয়ান অপরাজিত ছিলেন ৮১ রানে।
ভারতের জয়ের দিনে সহজ জয় পেয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানেও। রোটারডমে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাবর আজমের দল।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ডি লিড ও টম কুপারের ব্যাটে ভর করে ১৮৬ রান করে স্বাগতিকরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১১ রানেই ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান। তৃতীয় উইকেটে রিজওয়ানকে নিয়ে ৮৮ রানের জুটি গড়েন বাবর আজম। বাবর ৫৭ রান করে আউট হলে আগা সালমানকে নিয়ে বাকিটা পথ নির্বিঘ্নে পার করেন রিজওয়ান।
৬৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন রিজওয়ান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে অপরাজিত ছিলেন সালমান। ৩৫ বলে ৫০ রানের ইনিংসটিতে ৫টি চারের পাশাপাশি ছিল ২টি ছয়ের মার।