টুইটার বস ইলন মাস্ক বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, টুইটারের মালিক হওয়া এবং টুইটার চালানো বেশ কষ্টকর। তবে এটি বিরক্তিকর ছিল না বরং রোলার কোস্টারের মত ছিল। এক সময় সঠিক ব্যক্তির সন্ধান পেলে তিনি কোম্পানিটি বিক্রি করে দিবেন বলে জানিয়েছেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। টুইটারের কার্যালয়ে বিবিসিকে দেয়া এই সাক্ষাৎকার তিন মিলিয়নেরও বেশি মানুষ শুনেছে।
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং মহাকাশযান প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স এর মালিক মাস্ক গেল অক্টোবরে ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে টুইটার কিনে নেন। টুইটার কেনার বিষয়ে তার কোনো অনুশোচনা আছে কিনা জানতে চাইলে মাস্ক বলেন, ব্যথার মাত্রা অত্যন্ত বেশি। এটা কোনো ধরণের পার্টি ছিল না। গত কয়েক মাস ধরে সত্যিই কঠিন পরিস্থিতি ছিল।
তিনি বলেন, সবকিছু এখন ভালভাবেই চলছে। তিনি এখনও মনে করেছেন যে টুইটার কেনার সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল।
বিবিসির টুইটার অ্যাকাউন্টে লেবেল যুক্ত করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে মাস্ক বলেন, এটি সরকারি অর্থায়নের একটি মিডিয়া। রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার লেবেল যুক্ত হওয়া নিয়ে তাদের খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই ।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে বিবিসি এই বিষয়ে কথা বলার জন্য টুইটারের সাথে যোগাযোগ করে যাতে বিষয়টি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধান করা যায়। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিবিসি স্বাধীন এবং সবসময়ই ছিল। আমরা ব্রিটিশ জনগণের অর্থায়নে পরিচালিত।
এসময় টুইটারের আর্থিক বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মাস্ক বলেন, বেশিরভাগ বিজ্ঞাপনদাতারা ফিরে আসায় আমরা সুবিধাজনক অবস্থানে ফিরে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, তিনি যখন ফার্মটি কিনেছিলেন তখন ৮০০০ কর্মী ছিল। তা থেকে কমিয়ে ১৫০০ করার কাজটি খুব একটা সহজ ছিল না। কোম্পানিটি কেনার পর থেকে অনেক প্রকৌশলীর বিদায় প্লাটফর্মের টিকে থাকা নিয়েও উদ্বেগ তৈরি করেছিল। তবে বর্তমানে সবকিছু ঠিক ভাবেই চলছে।
প্ল্যাটফর্মে ব্লু টিকগুলোর বিষয়ে মাস্ক বলেন, আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লু টিক রয়েছে তা সরিয়ে দেওয়া হবে।
মাস্ক বিবিসি সম্পর্কে বলেন, আসলে বিবিসির প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা আছে। এই সাক্ষাৎকারটি কিছু প্রশ্নের উত্তর জানার একটি ভাল সুযোগ তৈরি করেছে।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী মাস্কের আনুমানিক ব্যক্তিগত সম্পদ প্রায় ১৯০ বিলিয়ন ডলার, যা তাকে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি করে তুলেছে।