
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডাক্তার জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের পর বিচার শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ব্যক্তিগত খরচে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন না তারা।
বৃহস্পতিবার ১৩ এপ্রিল ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত, লন্ডন থেকে আইনি লড়াই করতে এই দম্পতির আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেন।
এর আগে, ৯ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আছাদুজ্জামানের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। ওইদিন পলাতক তারেক-জোবায়দার পক্ষে ব্যক্তিগত খরচে আইনজীবী নিয়োগ করতে শুনানি করেন তাদের আইনজীবী। দুদক’র বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আদেশের জন্য ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ২০২২ সালের পয়লা নভেম্বর তারেক রহমান ও জোবায়দার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বর্তমানে তারা পলাতক রয়েছেন।
গত ৩০ জানুয়ারি তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে আদালতে হাজির হতে বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয় থেকে গেজেট প্রকাশ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান।

এক-এগারোর সময় ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া, সম্পদের তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই বছর তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আলাদা রিট আবেদন করেন। এর মধ্যে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
নানা আইনী জটিলতায় আটকে ছিলো মামলাটি। সম্প্রতি হাইকোর্ট তাদের সম্পদের মামলার বৈধতা প্রশ্নে তিনটি রিট ও রুল খারিজ করে দেন। পাশাপাশি নিষ্পত্তির আদেশও দেন আদালত। ১৫ বছর ধরে ঝুলে থাকা এ মামলায় তারেক ও জোবাইদাকে পলাতক আসামি হিসেবে মামলার নথিতে উল্লেখ রয়েছে।
গত বছরের ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গত ১৯ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দেন। তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।