যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির পরও শীর্ষ তেল উৎপাদনকারীদের জোট ওপেক প্লাস দৈনিক উৎপাদন কমানোয় বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের দাম। বিশ্লেষকরা বলছেন, তেলের বাজারের দখল বজায় রাখতে ওপেক প্লাসের এই সিদ্ধান্ত।
বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কায় তেলের দাম কমার যে প্রবণতা দেখা দিয়েছিলো তা পাল্টে এখন উল্টো তেলের দাম বাড়বে বলেও মনে করা হচ্ছে। ওপেক প্লাসের এই ঘোষণার মধ্যেই অপরিশোধিত তেলের জন্য স্বল্পমেয়াদী চুক্তি করতে নতুন উৎস খুঁজছে ভারত।
শীর্ষ তেল উৎপাদনকারীদের জোট ওপেক প্লাস বুধবার অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়, দৈনিক তেলের উৎপাদন ২০ লাখ ব্যারেল কমিয়ে দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্তে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের। হোয়াইট হাউস হতাশা জানিয়ে বলেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে তেলের দাম ও সরবরাহে স্থিতিশীলতা ধরে রাখা জরুরি ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই সিদ্ধান্তে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে ভয়ানক প্রভাব পড়বে। ওপেকের তেল উৎপাদনের সিদ্ধােিন্ত সমর্থন দিয়েছে সৌদি আরব। তবে বন্ধুরাষ্ট্রের এই ভূমিকায় যুক্তরাষ্ট্র ক্ষুব্ধ কি না সে প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ওপেক প্লাসের এই সিদ্ধান্তে সবচেয়ে লাভবান হবে রাশিয়া ও ভ্লাদিমির পুতিন। ১২০ ডলার ব্যারেল থেকে জ্বালনি তেলের দাম ৩ মাস আগে কমে ৯০ ডলার হয়েছিলো। ওপেক প্লাসের ঘোষণায় সেটা বেড়ে ৯৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রেও ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানি তেলের দাম। তাই মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির পরিবর্তে নির্দিষ্ট মেয়াদের চুক্তির দিকে ঝুঁকেছে ভারত। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র ও কলম্বিয়ার মতো দেশের সাথে চুক্তি করতে আগ্রহী দিল্লি। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের এই অবস্থান আর সব কিছু ছাপিয়ে যে বার্তা দিচ্ছে তা হলো, হয়তো অস্থিতিশীল জ্বালানি বাজারের দিকে ঝুঁকছে বিশ্ব।