পেঁয়াজের দাম আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। তিনি বলেছেন, গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে মজুদদাররা কোথায় কীভাবে পেঁয়াজ মজুদ করে রেখেছে, সেই তথ্য নেয়া হচ্ছে।
গতকাল (১২ ডিসেম্বর) সোমবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পেঁয়াজ কারসাজির সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে পেঁয়াজের দাম একেবারে যৌক্তিক মূল্যে আনার আশ্বাসও দেন তিনি।
এদিকে, গতকাল থেকে বিভিন্ন বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। যার ফলে দাম ইতিমধ্যে কমতে শুরু করেছে। একদিনের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মুড়িকাটা পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রেক্ষিতে দেশে পেঁয়াজের মূল্য বেড়ে যায়। তবে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে আমদানির জন্য আগেই এলসি খোলা ৫২ হাজার টন পেঁয়াজ দ্রুত দেশে নিয়ে আসা, বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ানো এবং ভোক্তা অধিদপ্তরের দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনাসহ সরকার ইতিমধ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।