করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন কিংবা কোভিডের মারাত্মক অসুস্থতায় প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ প্রতিরোধ সক্ষমতা রয়েছে বুস্টার ডোজের।
যুক্তরাজ্যের ইমপেরিয়াল কলেজের একদল গবেষকের প্রাথমিক গবেষণা তথ্য বিশ্লেষণের আলোকে এমন খবর জানিয়েছে বিবিসি।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পূর্বের কোভিড ধরনের তুলনায় ওমিক্রনে এ ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কম হলেও এর ফলে অসংখ্য মানুষকে হাসপাতালে নেয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
গত বৃহস্প্রতিবার যুক্তরাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক মানুষকে বুস্টার ডোজ দেয়া হয়। এতে অংশ নেন ৮ লাখ ৬১ হাজার ৩০৬ জন নাগরিক।
গবেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, পুরো পৃথিবীতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার ও এর পর্যাপ্ত বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত তথ্যাদি না পাওয়া পর্যন্ত এখানে অনেক বেশি অনিশ্চয়তা থাকবে।
বিশেষজ্ঞরা ওমিক্রনের ভয়াবহতার মাত্রা বুঝতে এখনও অবধি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভ্যাকসিন সাধারণত শরীরকে শেখায় কিভাবে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। কিন্তু ওমিক্রন মোকাবেলায় বিদ্যমান ভ্যাকসিন যথাযথভাবে কাজ করে না। ফলে বুস্টার ডোজের মাধ্যমে অধিক এন্টিবডি তৈরি করে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করবার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অধিক এন্টিবায়োটিক ভাইরাসকে নতুন সেলে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখতে পারে।
গবেষণায় বলা হয়, ওমিক্রন প্রতিরোধে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রতিরোধ সক্ষমতা রাখতে পারে বুস্টার ডোজ। ডেল্টা ও বিদ্যমান অন্যান্য ধরন প্রতিরোধে এর কার্যকারিতার হার ৯৭ শতাংশ বলে জানান গবেষকরা।
গবেষক দলের একজন প্রফেসর আজরা ঘানি বলেন, অনিশ্চয়তার বিষয় হলো অন্যান্য ধরনের তুলনায় ওমিক্রন ধরনটি কতটা মারাত্মক হতে পারে এ ব্যাপারে এখনও বিস্তারিত তথ্য নেই। তবে এটির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আরো সময় লাগলেও সরকারকে সংক্রণের বিস্তার রোধে এখন থেকে পরিকল্পনা রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গবেষণায় এ বিষয়টি মোটামুটি পরিষ্কার যে বুস্টার ডোজ প্রয়োগের গুরুত্ব এখন অনেক বেশি।