ইংলিশ বোলারদের তোপে শুরুতেই চাপে পড়েছিল উড়তে থাকা ভারত। লোকেশ রাহুল ও সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তোলেন রোহিত শর্মা। ৮৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে রোহিতের ফেরার পর সংগ্রহ খুব একটা বড় করতে পারেনি স্বাগতিক দল। ইংল্যান্ডকে ২৩০ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিতে পেরেছে তারা।
লক্ষ্ণৌর একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ভারতকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। রোহিতের লড়াই করা ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ২২৯ রান সংগ্রহ করে ভারত।
শুরুতে দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল স্বাগতিক দলটি। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে দলীয় ২৬ রানে শুভমন গিল ফিরে যান ১৩ বলে ৯ রান করে। দারুণ ছন্দে থাকা বিরাট কোহলি বিশ্বমঞ্চে ক্যারিয়ারে প্রথমবার শূন্য রানে আউটের ঘটনাও দেখে ফেলেন।
সপ্তম ওভারে ডেভিড উইলিকে এগিয়ে এসে মাথার উপর দিয়ে মারতে গিয়েছিলেন, তাতে গড়বড় করে ক্যাচ দিয়ে বসেন কোহলি। মিডঅনে বেন স্টোকসের তালুবন্দি হন। ৯ বল খেলে শূন্য রানে ফিরে যান। ওয়ানডেতে এ নিয়ে ১৬তম ডাক হাঁকালেন মহাতারকা ব্যাটার।
১২তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৪০ রানে শ্রেয়াস আয়ারকে ফেরান ক্রিস ওকস। ১৬ বলে ৪ রান করেন আয়ার। চতুর্থ উইকেট জুটিতে লোকেশ রাহুলকে নিয়ে দলকে চাপমুক্ত করেন রোহিত। জুটিতে ৯১ রান তোলেন দুজনে।
৩১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রাহুলকে ফেরান ডেভিড উইলি। ৫৮ বলে ৩৯ রান করে ফিরে যান রাহুল। ৩৭তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১৬৪ রানে একপ্রান্ত আগলে রাখা রোহিত ফিরে যান আদিল রশিদের শিকার হয়ে। ১০১ বলে ৮৭ রান করেন ভারত অধিনায়ক।
রোহিত ফেরার পর ফের চাপে পড়ে ভারত। ৪০.৩ ওভারে রশিদের শিকার হয়ে জাদেজা ফিরে যান ১৩ বলে ৮ রান করে। পরের ওভারে ১ রান করা মোহাম্মদ শামিকে ফেরান মার্ক উড। পরে জাসপ্রীত বুমরাহকে নিয়ে সংগ্রহ বাড়ান সূর্যকুমার যাদব। ৪৬.২ ওভারে দলীয় ২০৮ রানে সূর্যকুমারকে ফেরান উইলি। ৪৭ বলে ৪৯ রান করেন সূর্যকুমার।
ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হন বুমরাহ। ২৫ বলে ১৬ রান করেন। ১৩ বলে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন কুলদীপ যাদব।
ইংলিশদের হয়ে ডেভিড উইলি নেন তিনটি উইকেট। আদিল রশিদ ও ক্রিস ওকস নেন দুটি করে উইকেট। মার্ক উড নেন একটি উইকেট।