দুদলের সামনে দুই সমীকরণ। সেমিতে যেতে নিউজিল্যান্ডের জয়ের বিকল্প নেই, লঙ্কানদেরও জেতা প্রয়োজন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ২০২৫ আসরে কোয়ালিফাই নিশ্চিতের জন্য। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কিউই বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি লঙ্কানবাহিনী। শেষদিকে মাহেশ থিকসানার লড়াকু ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে ১৭২ রানের লক্ষ্য দিয়ে থেমেছে শ্রীলঙ্কা।
বেঙ্গালোরের এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টসে জিতে লঙ্কানদের আগে ব্যাটের আমন্ত্রণ জানান কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ট্রেন্ট বোল্ট ও লোকি ফার্গুসনদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে ৪৬.৪ ওভারে ১৭১ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
শুরুতেই পাথুম নিশাঙ্কার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। আরেক ওপেনার কুশল পেরেরা একপ্রান্ত আগলে রাখলেও নবম ওভারে দলীয় ৭০ রানে আরও ৩ ব্যাটার হারায় দলটি। ব্যাটে আলো ছড়ানোর আগেই ফিরে যান কুশল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চারিথ আশালঙ্কা।
পরের ওভারে ফিরে যান কুশল পেরেরা। নয়টি চার ও দুটি ছক্কায় ২৮ বলে ৫১ রান করে ফাগুর্সনের শিকার হন।
৭০ রানে ৫ ব্যাটার হারানোর পর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ৩৪ রানের জুটি গড়ে শতরান পার করেন। ১৭তম ওভারে ম্যাথুজ ফিরে যান ২৭ বলে ১৬ রান করে স্যান্টনারের শিকার হয়ে। এক ওভার পরই স্যান্টনারের দ্বিতীয় শিকার হন সিলভা। ফিরে যান ২৪ বলে ১৯ রানে।
২৪তম ওভারে দলীয় ১১৩ রানে অষ্টম ব্যাটার হারায় শ্রীলঙ্কা। চামিকা করুণারত্নেকে ফেরান ফার্গুসন। ৩৩তম ওভারে দলীয় ১২৮ রানে দুশমন্থ চামিরাকে ফেরান রাচিন রবীন্দ্র।
পরে মাহেশ থিকসানার ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে দেড়শো পার করে লঙ্কান দল। ৪৭তম ওভারে দিলশান মাদুশঙ্কাকে ফিরিয়ে লঙ্কানদের গুটিয়ে দেন রাচিন রবীন্দ্র। ৪৮ বলে ১৯ রান করেন মাদুশঙ্কা। ৯১ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন থিকসানা।
কিউইদের হয়ে তিনটি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। লোকি ফার্গুসন, রাচিন রবীন্দ্র ও মিচেল স্যান্টনার নেন দুটি করে। টিম সাউদি নেন একটি উইকেট।