‘আমি রেকর্ড সম্পর্কে ভীষণ সচেতন। বলের মোকাবিলা নিয়েও আমি খুব সচেতন। আমি দ্রুততম ফিফটি ও দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড পছন্দ করি। আমার মনে হয় এগুলো বেশ দুর্দান্ত রেকর্ড। কখনো কখনো নিজের ক্ষতির কারণ হলেও আমি সম্ভবত সবসময় একটু বেশিই বাউন্ডারির বাইরে বল মারি।’
ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম ও একদিনের ক্রিকেটে চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ার পর এ কথাগুলোই বলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিনি মাত্র ৪০ বলে তুলে নেন শতক।
চলতি আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪৯ বলে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন প্রোটিয়া ব্যাটার এইডেন মার্করাম। ১৮ দিন পর ম্যাক্সওয়েল সেটি ভাঙলেন। নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ২৭ বলে তুলে নেন হাফ-সেঞ্চুরি। একের পর এক চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে মাত্র ১৩ বল পরেই তুলে নেন সেঞ্চুরি। ক্রিজ ছাড়ার আগে ৪৪ বলে ৯ চার ও ৮ ছক্কায় করেন ১০৬ রান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে পাগলামি করে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে গোল্ডেন ডাকের শিকার হন অজি অলরাউন্ডার। ডাচদের সঙ্গে ম্যাচের আগে তার স্ত্রী এবং শিশুপুত্রের ভারতে আসার পর রাতে পর্যাপ্ত ঘুমাতেও পারেননি। সকল পরিস্থিতি সামলে মানসিকভাবে নিজেকে শান্ত রাখার চ্যালেঞ্জটা তিনি ভালোভাবেই উতরে গেছেন।
‘আমি চেঞ্জিং রুমে বসে ছিলাম এবং সত্যিই ব্যাট করতে চাইনি। কিন্তু আমি যখন ক্রিজে গিয়েছিলাম, তখন আমি একটু বেশিই ঠাণ্ডা ছিলাম। আমার খুব বেশি আশা ছিল না।’
ম্যাক্সওয়েল ইনিংসের প্রথম দিকে ঝড় তোলেননি। তার ইনিংসের প্রথম পাঁচটি বাউন্ডারির মধ্যে তিনটি ছিল দুর্দান্ত ড্রাইভে, প্যাডেল সুইপ। ২১ বল খেলে তিনি করেছিলেন ৩৫ রান। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের উপর দিয়ে রিভার্স শট খেলেন। বাস ডে লেডের বলে দ্বিতীয় শটটি ভুলভাবে খেলার পর তিনি ধরেই নিয়েছিলেন সাজঘরে ফিরবেন। ম্যাচের পর এমনটাই জানান ৩৫ বর্ষী ক্রিকেটার।