চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

মাটি কাটার মতো সিনেমা করাও পরিশ্রমের কাজ: অধরা

শুক্রবার দেশের ২২টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সৈকত নাসির পরিচালিত সিনেমা ‘সুলতানপুর’। ছবিটি দেখতে সকাল থেকেই প্রেক্ষাগৃহে ঢুঁ দিচ্ছেন নায়িকা অধরা খান

‘সিনেমাতে কাজ করা এতো বেশি পরিশ্রম, ঠিক মাটি কাটলে মানুষের যেরকম পরিশ্রম হয়, সিনেমার কাজটাও কিন্তু সেরকম। সকাল ৬টায় যদি শুটিং কল থাকে, তাহলে আমাদের উঠতে হয় ভোর ৪টায়। আমরা চাইলেও ৯টা-৫টা পর্যন্ত কাজ করতে পারি না। টানা ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টার মত কাজ করতে হয়।’

শুক্রবার দেশের ২২টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সৈকত নাসির পরিচালিত সিনেমা ‘সুলতানপুর’। ছবিটি দেখতে সকাল থেকেই প্রেক্ষাগৃহে ঢুঁ দিচ্ছেন নায়িকা অধরা খান। দেখছেন ছবিটি নিয়ে মানুষের প্রতিক্রিয়া। প্রথম দিনেই আশানুরূপ সাড়াও পাচ্ছেন। ফাঁকে ফাঁকে গণমাধ্যমকর্মীদেরও মুখোমুখি হচ্ছেন। তারই এক পর্যায়ে সিনেমা নিয়ে উপরের কথাগুলো বলেন অধরা।

‘সুলতানপুর’ ছবিটির নাম ছিলো ‘বর্ডার’। আপত্তির মুখে ছবিটির নাম বদলাতে বাধ্য হন নির্মাতা। ২০২০ সালের অক্টোবরে হয়েছে ছবির শুটিং। সেসময় করোনার কারণে ছিলো নানান অনিশ্চয়তা। এরকম কঠিন সময়ে কীভাবে সিনেমার শুটিং করেছেন, ছবিটি মুক্তির দিনে সে অভিজ্ঞতাও শেয়ার করলেন অধরা।

নায়িকা বলেন, ‘তখন সারা বিশ্ব করোনার কারণে প্রায় অচল। মানুষ ভয়ে বাসা থেকেই বের হচ্ছিলো না। সেই সময়ে এই ছবির কাজ করা অনেক বেশী চ্যালেঞ্জিং ছিলো। কারণ করোনার মধ্যে এরকম একটা ক্রাউডেড ফিল্ম করা সহজ কথা ছিলো না। সবকিছু অ্যারেঞ্জ করে কাজটি করতে হয়েছে। সেই সময়ে দিনে ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টার মতো শুটিং করেছি। করোনার কারণে আমাদের খুব তাড়াহুড়ো ছিলো। সবার তাড়া ছিলো, কম সময়ের ভেতরে যেভাবেই হোক কাজটি শেষ করতে হবে!’

সুলতানপুর মুক্তির দিনে নায়িকা বলেন, ‘কষ্ট করলে যে সেটার ফল পাওয়া যায়, সুলতানপুর তার বড় উদাহরণ। প্রথম দিনে মানুষের রিয়েকশনে অন্তত এমনটাই হলো।’

এ ছবিতে সমাজকর্মীর চরিত্রে দেখা যাবে অধরাকে। গল্পে তার বাবা এলাকার পরোপকারী মানুষ। বাবার কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অধরাও সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে, আর তাতেই অনেকের চক্ষুশূল হয়।

অধরা বলেন, দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার বাস্তব কিছু চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এখানে। ওখানকার মানুষের সুখ-দুঃখ, প্রেম-বিচ্ছেদ ও মানুষরূপী কিছু ভয়ানক অমানুষের গল্প। এখানে আমি অন্য আট-দশটা বাণিজ্যিক ছবির মতো গতানুগতিক নায়িকা নই। গল্পই এ ছবির নায়ক।