সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ এর অধীনে ‘জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি’ গঠন করেছে সরকার।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে গত ১৭ নভেম্বর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব মো. সামসুল আরেফিনের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ (২০২৩ সালের ৩৯ নং আইন) এর ধারা ৫ এর উপ-ধারা ১-এ দেওয়া ক্ষমতাবলে সরকার জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি নামে একটি এজেন্সি গঠন করল।
একই প্রজ্ঞাপনে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি বাতিল করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি গঠন করা হয়েছিল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি গঠন করা হয়েছিল।

বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে গত ২৮ আগস্ট মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
চারটি ধারায় অজামিনযোগ্য রেখে সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩-এর খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়। ধারাগুলো হলো- ১৭, ১৯, ২৭ ও ৩৩। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে বেআইনি প্রবেশ (ধারা-১৭), কম্পিউটার ও কম্পিউটার সিস্টেমে ইত্যাদির ক্ষতিসাধন (ধারা-১৯), সাইবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংগঠনের অপরাধ (ধারা-২৭), হ্যাকিং সংক্রান্ত অপরাধ (ধারা-৩৩)- এগুলো অজামিনযোগ্য রাখা হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর সাইবার নিরাপত্তা আইন পাস করা হয়। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে তা কার্যকর হয়। এ আইনে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি গঠনের কথা রয়েছে। আইনে বলা হয়েছে— এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার একজন মহাপরিচালক ও বিধির মাধ্যমে নির্ধারিত সংখ্যক পরিচালকের সমন্বয়ে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি নামে একটি এজেন্সি গঠন করবে। এজেন্সির প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকবে।
বিজ্ঞাপন
তবে সরকার প্রয়োজনে ঢাকার বাহরে দেশের যেকোনও স্থানে এজেন্সির শাখা কার্যালয় স্থাপন করতে পারবে। এজেন্সি প্রশাসনিকভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে সংযুক্ত দফতর হিসেবে থাকবে। এজেন্সির ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কার্যাবলি বিধির মাধ্যমে নির্ধারিত হবে বলেও আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন