সংবিধান জনগণকে কথা বলার অধিকার দিয়েছে উল্লেখ করে খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী বলেছেন, সংবিধান মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু সে কথা বলার অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। সভা-সমাবেশের অনুমতি না দেওয়া বিষয়ক নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার বহির্ভূত সিদ্ধান্ত জনগণ মানবে না। জনগণকে গৃহবন্দি করে, রাজনৈতিক নেতাদের জেলে পুরে, সাজা দিয়ে যেনতেনভাবে নির্বাচন করতে চায় সরকার। জনগণের দাবি উপেক্ষা করে কোন নির্বাচন হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
শুক্রবার ১৫ ডিসেম্বর খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
এর আগে, জুমার নামাজের পর অবিলম্বে ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল বাতিল করার দাবিতে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট হতে মিছিল শুরু হয়ে পল্টন মোড়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
আহমদ আলী কাসেমী বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে কোন মতামত সরকার সহ্য করতে পারছে না। গত পরশু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আয়োজিত শিক্ষানীতির উপর একটি সেমিনার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। আজ অভিভাবকরা তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকিত। এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না।
তিনি বলেন, অবিলম্বে ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল বাতিল করতে হবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল জলিল, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলা, অ্যাডভোকেট শায়খুল ইসলাম, সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, হাজী নুর হোসেন, আবুল হোসেন, প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুল হক, আমির আলী হাওলাদার, হুমায়ুন কবির আজাদ, এনামুল হক হাসান, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ, গিয়াস উদ্দিন, মহিউদ্দিন জামিল, মাওলানা কাউসার আহমদ সোহাইল, নুর মুহাম্মদ প্রমুখ।