চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

‘দুইবার অস্ট্রেলিয়া এসেছিলেন শাকিব, কখনোই গ্রেপ্তার হননি’

ভিডিও বার্তায় শাকিবের অস্ট্রেলিয়ান আইনজীবী উপল আমিন

২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়াতে শুটিংকালে শাকিব খানের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ দেওয়া হয়। পরে যেখনাকার পুলিশের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ গেলে তখনই সেটির নিষ্পত্তি করা হয়। জানিয়েছেন শাকিবের অস্ট্রেলিয়ান আইনজীবী উপল আমিন।

সোমবার সন্ধ্যায় এক ভিডিও বার্তায় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিমিনাল ডিফেন্সের এই লয়ার বলেন, শাকিব খান নির্দোষ এটার ব্যাপারে আমি একটা কনফার্মেশন লেটার পাব অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ অথোরিটির কাছ থেকে এবং সেটাও আপনাদের দেখাবো।

শাকিবের আইনজীবী উপল আমিন বলেন, অভিযোগ তো মানুষ করতেই পারে। কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে, অভিযোগ করার পর কী হয়েছিল? এই অ্যানি সাবরিন এবং রহমত উল্লাহ যে শাকিব খানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছিল সিডনি অস্ট্রেলিয়াতে, এই বিষয়টি তো মিস্টার শাকিব খান অস্বীকার করেননি।

“রহমত উল্লাহ মিডিয়ার কাছে এসে বলছেন, শাকিব খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ হওয়ার পর, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। উনার নামে মামলা করা হয়েছিল। শাকিব খান নাকি দুই দুইবার অস্ট্রেলিয়াতে মামলা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।”

“অস্ট্রেলিয়াতে যে কেউ পুলিশ স্টেশনে গিয়ে যে কোনো ব্যাপারে একটা রিপোর্ট করলে, তাকে একটা ইভেন্ট নাম্বার দেওয়া হয়। বাংলাদেশে জিডি বলা হয়, আর আমাদের অস্ট্রেলিয়াতে ইভেন্ট নাম্বার বলা হয়। দুটো জিনিস কিন্তু একই। এখন একটা ইভেন্ট নাম্বার পাওয়া, মানে এই নয় যে, কারও নামে কোনো মামলা দেওয়া হয়েছে।” -বলছিলেন উপল আমিন।

রহমত উল্লাহর অভিযোগ সন্দেহজনক উল্লেখ করে আইনজীবী বলেন, উনি যে কথাগুলো বলেছেন, এটা আমার কাছে যথেষ্ট সন্দেহজনক মনে হয়েছিল। আমি শাকিব খান অস্ট্রেলিয়ান লোকাল লয়ার। আমি এই ব্যাপারগুলো চেক করেছি পুলিশের সাথে। আমি সেন্ট জর্জ ডিটেকটিভ অফিসে ওদের হেড অব ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছি। ডিটেকটিভ সার্জেন্ট মাইকেল বাগের সাথে কথা বলেছি এবং তিনি আমাকে কয়েকটা বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।

“প্রথমত, অস্ট্রেলিয়াতে শাকিব খানের নামে কখনো কোনো মামলা হয়নি। দ্বিতীয়ত, শাকিব খানকে কখনো কোনো ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়াতে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তৃতীয়ত যেহেতু শাকিব খান গ্রেপ্তার হন নাই, সেহেতু উনার পালানোর কথা আসেই না। এই ব্যাপারে পুলিশের তদন্ত শেষ এবং এই ব্যাপারটি পুরোপুরি ডিসমিস করে দেওয়া হয়েছে। শাকিব খানের নামে কখনো কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল না।”

উপল আমিন বলেন, উনার (শাকিব খান) নামে কোনো অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট ছিল না, মামলা ছিল না, তাকে কখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি তাহলে তো অস্ট্রেলিয়া থেকে তার তো পালানোর কোনো প্রশ্নই আসে না!

উপল বলেন, আমার ক্লায়েন্ট শাকিব খানের খ্যাতিকে নষ্ট করার জন্য এই চক্রান্ত চলছে। শাকিব খানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগটা রহমত উল্লাহ এনেছে, এটা একটা অর্থনৈতিক চক্রান্ত। আমার ক্লায়েন্টের থেকে টাকা আদায়ের জন্য রহমত উল্লাহ এই কাজটা করেছে।

উপল আমিন বলেন, ‘আমার ক্লায়েন্ট শাকিব খান ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়াতে এসেছিলেন এবং ২০১৮ সালেও এসেছিলেন, কিন্তু কখনোই গ্রেপ্তার হননি।’

ভিডিও বার্তার শেষে উপল বলেন, আমি অস্ট্রেলিয়া থেকে আপনাদের যা বলছি, এটা সম্পূর্ণ এখানকার আইনের ভিত্তিতে কথা বললাম। আমার ক্লায়েন্ট শাকিব খান নির্দোষ এটার ব্যাপারে আমি একটা কনফর্মেশন লেটার পাব অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ অথোরটির কাছ থেকে এবং সেটাও আপনাদের দেখাব। রহমত উল্লাহ যে অভিযোগ করেছে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। রহমত উল্লাহর উচিত, এই অভিযোগুলো প্রত্যাহার করা।

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View