নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালতের বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে হাইকোর্টে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সহসভাপতিসহ তিন আইনজীবী।
এই তিন আইনজীবী হলেন নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজুল হক, সহসভাপতি মো. আজহারুল ইসলাম ও আইনজীবী ফেরদৌস আলম।
বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে নিঃশর্ত তারা ক্ষমা চাইলে আদালত পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারী দিন ধার্য করেন। এবং ওইদিনও এই তিন আইনজীবীকে হাইকোর্টে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
আদালতে নীলফামারীর আইনজীবীদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আব্দুর নূর দুলাল ও অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের এক মামলায় গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাজতি আসামির জামিন নামঞ্জুর এবং অপর আসামিদের জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন নামঞ্জুর করেন নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১–এর বিচারক মো. গোলাম সারোয়ার। এই আদেশ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ওই মামলায় নিয়োজিত তিন আইনজীবীসহ তাদের অপর সহযোগী আইনজীবীরা ‘মারমুখী ও আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে এজলাসের টেবিল চাপড়িয়ে বিকট শব্দে’ বিচারকের প্রতি বিভিন্ন উক্তি করে হামলা করার প্রয়াস চালান বলে বিচারক মো. গোলাম সারোয়ার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কাছে একটি চিঠি পাঠান। পরে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করলে প্রধান বিচারপতি বিষয়টি বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠাতে নির্দেশ দেন। সে ধারাবাহিকতায় বিষয়টি শুনানির জন্য এলে হাইকোর্ট নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সহসভাপতিসহ তিন আইনজীবীর প্রতি আদালত অবমাননার স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেন। সেই সাথে ৮ ফেব্রুয়ারি এই তিন আইনজীবীকে অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।