বল দখল, আক্রমণ কিংবা গোলে শট— সবকটি বিভাগেই সাউথ কোরিয়ার চেয়ে এগিয়ে থাকা ব্রাজিল পেল উড়ন্ত জয়। ২০১৯ সালের নভেম্বরে শেষ দেখার পর প্রীতি ম্যাচে সাউথ এশিয়ার দলটিকে আবারও বড় হারের স্বাদ দিলো হলুদ সাম্বার দল।
বৃহস্পতিবার সিউল ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেডিয়ামে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে স্বাগতিক দল। পেনাল্টি থেকে জোড়া গোল করেছেন নেইমার, একটি করে গোল পেয়েছেন রিচার্লিসন, গ্যাব্রিয়েল জেসাস ও কৌতিনহো। কোরিয়ার একমাত্র গোলটি হো হোয়াইং জোর। দুবছর আগে সেলেসাওদের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল কোরিয়া।
এদিন শুরু থেকেই আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসেন টিটের শিষ্যরা। গোলের উদ্দেশ্যে নেয়া ৩৩টি শটের ৯টি রাখেন লক্ষ্যে। বিপরীতে স্বাগতিক দল ১৩ শটের ৬টি রাখতে পারে লক্ষ্যে। বল দখলের লড়াইয়েও পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের থেকে যোজন পিছিয়ে ছিল কোরিয়া।
প্রায় দুবছর পর প্রীতি ম্যাচ খেলতে নামা ব্রাজিল শুরুর দ্বিতীয় মিনিটে বল জালে জড়ায়। রেফারি অফসাইডের পতাকা তুললে হতাশ হতে হয় সেলেসাওদের। চার মিনিট পর হতাশা দূর করেন রিচার্লিসন। ষষ্ঠ মিনিটের সময় ফ্রেডের বাড়ানো বলে আলতো টোকায় জালে জড়িয়ে লিড এনে দেন এভারটনের স্ট্রাইকার।
পাঁচ মিনিট পর সমতায় ফিরতে পারত কোরিয়া। সন হিউং মিনের দূরপাল্লার জোড়াল শট ঠেকিয়ে দেন অ্যালিসন বেকারের বদলি গোলরক্ষক ওয়েভারটন। গোল হজম করে শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে স্বাগতিক দল। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে ৩১ মিনিটে সমতায় ফেরে তারা।
বক্সের বাঁ-প্রান্ত থেকে ডান পায়ের দারুণ শটে ওয়েভারটনকে পরাস্ত করেন হাং উই জু। বেশি সময় স্কোরলাইন সমতায় রাখতে পারেনি সন হিউং মিনের দল। ৩৯ মিনিটে বক্সের ভেতরে অ্যালেক্স সান্দ্রোকে বাজেভাবে ফাউল করেন লি ইয়ং। শুরুতে পেনাল্টি বাঁশি না বাজালেও ভিএআরের মাধ্যমে পাওয়া স্পট কিকে ব্যবধান ২-১ করেন নেইমার।
বিরতির পর আক্রমণের ধার বাড়ায় দুদলই। ৫১ মিনিটে রাফিনহার দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেয়ার পরের মিনিটেই আরেকটি শট রুখে দেন কোরিয়ার গোলরক্ষক এস কিম।
অ্যালেক্স সান্দ্রোকে ৫৪ মিনিটে আরেকবার ফাউল করলে দ্বিতীয় পেনাল্টি পায় সেলেসাওরা। কিম ইয়ং গাউনের ভুলে পাওয়া পেনাল্টি থেকে বুদ্ধিদীপ্ত শটে জোড়া গোল আদায় করে নেন ব্রাজিল অধিনায়ক নেইমার।
ম্যাচের ৫৮ মিনিটে ফের আক্রমণে ওঠে কোরিয়া। সু হিয়াংয়ের জোড়াল শট এবার দারুণ ক্ষিপ্রতায় রুখে দেন ওয়েভারটন। ডি-বক্সে থাকা সতীর্থদের গায়ে ফিরতি বল লেগে আরেকটু হলে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দিচ্ছিল ব্রাজিল, গোলরক্ষক ওয়েভারটনের দারুণ দক্ষতায় সে যাত্রায় ব্যবধান অক্ষুণ্ণ রাখে দলটি।
খেলার ৭৩ মিনিটে নেইমারের বাড়ানো বল জালে রাখতে ব্যর্থ হন রিচার্ডসনের বদলি ভিনিসিউস জুনিয়র। পরের মিনিটে রাফিনহার জোড়াল শট গোলবারে লাগলে ব্যবধান বাড়াতে পারেননি সেলেসাওরা।
ম্যাচের ৮০তম মিনিটে নেইমারের পরিবর্তে নামা কৌতিনহো করেন দলের চতুর্থ গোলটি। যোগ করা সময়ে কোরিয়ার হারের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ম্যানসিটি স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসাস।