নেইমার ও কাইলিয়ান এমবাপের মধ্যে কে পেনাল্টি কিক নেবেন, তা নিয়ে কম কাণ্ড ঘটেনি। দর্শক-সমর্থক থেকে সাবেক-বর্তমান তারকা হয়ে ফুটবল বোদ্ধারা পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে মুখরোচক আলোচনায় মেতেছিলেন।
মন্টেপিলিয়েরের বিপক্ষে লিগ ওয়ানে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৫-২ গোলে জিতেছিল পিএসজি। সেদিন পেনাল্টি নেয়াকে কেন্দ্র করে নেইমার ও এমবাপে তর্কে জড়িয়েছিলেন।
ম্যাচে গোলশূন্য ড্র থাকার সময়, ২৩ মিনিটে পেনাল্টি পায় পিএসজি এবং সেখানে মেসি-নেইমার থাকতেও শট নেন এমবাপে এবং বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন। পরেরবার আবার পেনাল্টি পেলে নেইমার নিজেই নিতে চান কিক। শট নেনও, গোল আদায় করেন এবং ইঙ্গিতপূর্ণ উদযাপনে মাতেন। টিভি ক্যামেরায় দেখা যায় পিএসজির লিড নেয়ার সেই সময়েও নির্বিকার ছিলেন এমবাপে। আলোচনা-সমালোচনা তাতে আরও তুঙ্গে ওঠে।
তারপর অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে। অবশেষে নেইমারের সঙ্গে পেনাল্টি-সম্পর্ক নিয়ে নীরবতা ভেঙেছেন এমবাপে। বাস্তবতা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, নেইমারের সঙ্গে সম্পর্ক সবসময় দারুণ না হলেও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ তাদের ভেতরে রয়েছে।
ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার বলেছেন, নেইমারের সঙ্গে ছয় বছর খেলছি। আমাদের মধ্যে কখনো ঠাণ্ডা, কখনো উষ্ণতার মাঝে সবসময়ই শ্রদ্ধার সম্পর্ক ছিল। দলে তার যে প্রভাব সেটার প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা আছে।
ঘরের মাঠে জুভেন্টাসের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে মঙ্গলবার রাতেই নামছে পিএসজি। এই ম্যাচে পেনাল্টি পেলে কে নেবেন সেটি যেন কোটি টাকার প্রশ্ন! পিএসজি কোচ ক্রিস্তোফ গালতিয়ের আগেই জানিয়েছেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই নির্ধারণ করা হবে পেনাল্টি শুটারের নাম। সেটা হতে পারেন নেইমার, এমবাপে কিংবা মেসি।
বিষয়টি নিয়ে ২৩ বর্ষী ফ্রেঞ্চম্যানের ভাষ্য, ‘জুভেন্টাসের বিপক্ষে কে পেনাল্টি নেবে আমি জানি না। ম্যাচ চলাকালীন পরিস্থিতি কেমন হয়, তা দেখতে হবে।’
গত মাসে গালতিয়ের বলেছিলেন, ‘পেনাল্টি নেয়ার বিষয়টি সিরিয়াল অনুযায়ী হতে পারে। সেই মুহূর্তে মাঠে কে আছেন তার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত আসবে। মন্টেপিলিয়েরের বিপক্ষে সুনির্দিষ্ট সিরিয়াল ছিল। পেনাল্টি নিতে এক নম্বরে থাকবেন এমবাপে, দুই নম্বরে নেইমার। সেটাই ঘটেছিল।’
অর্থাৎ, প্রথম এবং একমাত্র পেনাল্টি হলে সেটা এমবাপেই নেবেন, তা অনেকটাই পরিষ্কার। যদিও ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার নিজে দিয়েছেন আপোষের ইঙ্গিত। বলেছেন, ‘প্রথম পছন্দ হওয়ার মানে এই নয় যে আপনি সব পেনাল্টি নিতে যাচ্ছেন। কেক ভাগ করতে জানতে হবে।’