নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে আক্রমণাত্মক খেলে ২৬৭ রানের জয়ে দুম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেছে ইংল্যান্ড। কিউইদের মাটিতে সিরিজ জিতে ১৫ বছরের আক্ষেপ ঘোচাতে চায় স্টোকসের দল। পথে বাধা হতে চায় নিউজিল্যান্ড, আক্রমণাত্মক খেলেই ইংল্যান্ডকে হারাতে চান টিম সাউদি।
ওয়েলিংটনে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় শুরু হবে কিউই-ইংলিশ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটি।
সবশেষ ২০০৮ সালে তিন টেস্টের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই সিরিজের পর কিউই মাটিতে তিনটি সিরিজ খেললেও জয়ের দেখা পায়নি ইংলিশরা। দুই সিরিজে হারের সঙ্গে একটিতে ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।
মাউন্ট মঙ্গানুইতে এবার প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ড। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ওভার প্রতি পাঁচের বেশি রান তুলে ৯ উইকেটে ৩২৫ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল ইংল্যান্ড। জবাবে ৩০৬ রানে পৌঁছাতে পারে নিউজিল্যান্ড।
১৯ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে সফরকারীরা, ৩৭৪ রান তোলে। কিউইদের ৩৯৪ রানের লক্ষ্য দেয়। জবাবে স্টুয়ার্ট ব্রড ও জেমস অ্যান্ডারসনের তোপে ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। বড় জয়ে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড।
উচ্ছ্বসিত বেন স্টোকসের চাওয়া পরের ম্যাচেও জয়ের ধারা বজায় রাখা। ৩১ বর্ষী ইংলিশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমরা যে প্রভাব বিস্তার করে খেলতে পারছি এটা দারুণ। পরের ম্যাচেও আমরা জিততে চাই। সিরিজ জয়ের জন্য আমাদের আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
প্রথম টেস্টে হতাশার পর ইংল্যান্ডকে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটেই হারানোর স্বপ্ন দেখছেন অধিনায়ক টিম সাউদি। ৩৪ বর্ষী স্বাগতিক পেসার বলেছেন, ‘প্রথম টেস্টে আমরা ভালো করতে পারিনি। আমাদের আরও ভালো খেলতে হবে। আমার মনে হয়েছে তারা ফলাফলের জন্য ক্রিকেট খেলতে চায়। যা আমাদের জন্যও দুর্দান্ত একটি উপায়। আমাদের কিছু জিনিস আছে যা ঠিক করা প্রয়োজন। আশা করি পরের ম্যাচে আমরা ভালো করব।’
সবমিলিয়ে ১১১ টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। জয়ের দিকে এগিয়ে ইংল্যান্ড, জিতেছে ৫২ ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডের জয় ১২টিতে। ড্র হয়েছে ৪৭ ম্যাচ।
শেষ ৫ ম্যাচের পাঁচটিতেই জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড, বিপরীতে জয়হীন স্বাগতিকরা। তিন হারের সঙ্গে দুটিতে ড্র কিউইদের।