চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

করোনাভাইরাসের মিউট্যান্টের উৎসের কাছাকাছি

ভাইরোলজিস্ট মার্ক জনসন নর্দমার লাইনের একটি সংযোগ মাধ্যম থেকে নেওয়া জীবানু পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস মিউট্যান্টের উৎসের দিকে এগিয়ে গিয়েছে। কয়েক মাস ধরে বর্জ্য পদার্থের নমুনা নেওয়ার পর ইউনিভার্সিটি অফ মিসৌরি স্কুল অফ মেডিসিন মাইক্রোবায়োলজিস্ট খুঁজে পেয়েছেন, মিউট্যান্টের উৎপত্তি কোথায়! মূলত তারা বলছেন, এটি নির্দিষ্ট উইসকনসিন ব্যবসায় বিশ্রামাগারের নিয়মিত ব্যবহারকারীর কাছ থেকে উৎপত্তি।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যদিও সেই ব্যবসায়ী ব্যক্তিটিকে শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব। জনসন এখনও জেনেটিক তথ্য থেকে দেখতে পান যে ভাইরাসের কণাগুলো এক বছরেরও বেশি সময় ধরে নতুনভাবে তৈরি হচ্ছে। আর সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ছে। আর করোনাভাইরাসের এই ধরণটি সাধারণ দুই সপ্তাহের কোভিড সংক্রমণের চেয়ে বহুগুণ বেশি স্থায়ী হয়।

জনসন বলছেন, এই সময়ের মধ্যে মিউটেশনগুলো দেখায় যে ভাইরাসটি ‘নরকের মতো দৌড়াচ্ছে’, রোগীর প্রতিরোধ ক্ষমতা এড়াতে চেষ্টা করছে। নর্দমা থেকে নেওয়া নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা যায়, এটি শরীরের মধ্যে একটি যুদ্ধক্ষেত্রের ন্যায় কাজ করছে। এছাড়া ভাইরাসটি দ্রুত একটি শক্তিশালী ঘাঁটি বজায় রাখার জন্য বিকশিত হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ‘আপনি অনেক দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ খুঁজে পেতে পারেন, যারা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সংক্রমিত। অথচ ভাইরাসটি একেবারেই অপরিবর্তিত। অপরদিকে আমি বুঝতে পারি না কেন কিছু রোগীদের মধ্যে এটি পাগল হয়ে যায়, আর দ্রুত পরিবর্তন হতে থাকে।’

কোভিড-১৯ মহামারী যখন চতুর্থ বছরে পদার্পণ করছে, জনসনের মতো গবেষকরা মাইলের পর মাইল বর্জ্য পাইপ এবং ড্রেনের মধ্য দিয়ে খুঁজে বের করে মূল প্রশ্নের উত্তরের কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছেন। যেমন, উদ্বেগজনক নতুন মিউট্যান্ট কোথা থেকে এসেছে? দীর্ঘ সময় স্থায়ী কোভিডের এই ধরণ, সংক্রমণ ব্যাধিতে তাদের ভূমিকা কী, যা বিশ্বব্যাপী ১৪০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে আক্রান্ত করছে!