
কিশোর- কিশোরীদের সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ জরুরি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. সামিউল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার ৮ জুন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২৩ এর দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘খাদ্যের সাথে সুষম পুষ্টির বিষয়টি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। কিশোর-কিশোরীদের সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ জরুরি। আপনারাই এই সময়ের হেলথ অ্যামবেসেডর।’
দেশের কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টি সম্পর্কে সচেতন করতে ইন্সটিটিউট অব পাবলিক হেলথ এন্ড নিউট্রিশন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশন, নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও তাদের অংশীদার সংগঠনসমূহ জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে নোউরিস্ট নেক্সটজেন সম্মেলন ২০২৩ আয়োজন করে।

সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল তরুণ ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, এবং বিভিন্ন অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রমে উৎসাহি করা।
স্বাগত বক্তব্যে ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ নিউট্রিশনের ডিরেক্টর ডা. শাহ গোলাম নবী বলেন, একটি জাতি গঠনের মূল উপাদান পুষ্টি। জনগণের মাঝে পুষ্টি কার্যক্রম ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ৮টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে কাজ করছে। জনগণের মধ্যে যথার্থ পুষ্টির বার্তা ছড়িয়ে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশন এর পোর্ট ফোলিও লিড মনিরুজ্জামান বিপুল বলেন, ‘আমরা গত কয়েক বছর ধরে ‘ভাল খাবো, ভাল থাকবো’ ও ‘অ্যাক্ট ফর ফুড অ্যাক্ট ফর চেইঞ্জ’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে আগ্রহী করতে গণসচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আজ সম্মেলনে তারা তাদের কথা বলবে, এবং তাদের মতামত নিয়েই আমরা ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাব।
নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাইকা সিরাজ বলেন, ‘আমাদের দেশের বয়ঃসন্ধিকালীন পর্যায়ের অনেক শিশু-কিশোররাই পুষ্টি সেবা থেকে বঞ্চিত। নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল সেই সব শিশুদের সেবার আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছে এবং কমিউনিটি নিউট্রিশনকে আমরা মূলত প্রাধান্য দিচ্ছি।’
সম্মেলনে তরুণ শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও পুষ্টি বিষয়ক সচেতনতার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তাদের প্রায়োগিক পরামর্শ প্রদান করেন বিশেষজ্ঞ বক্তরা।
কিশোর কিশোরীরা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও তরুণরা কমিউনিটিভিত্তিক পুষ্টি প্রচারণায় সৃজনশীল প্রজেক্ট আইডিয়া তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশনের পোর্ট ফোলিও লিড মনিরুজ্জামান বিপুল, নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাইকা সিরাজ, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ন্যাশনাল কনসালটেন্ট অনিল দাস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার (নিউট্রিশন) শবনম ফারিয়া এবং ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ নিউট্রিশনের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. শমসের তাবরিস খান উপস্থিত ছিলেন।