মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছে আরও অনেকে। দেশটিতে চলমান সামরিক অভিযানের মধ্যে এটি সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা।
মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল বিবিসির প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের একটি গ্রামকে লক্ষ্য করে এই হামলা করা হয়।
সাগাইং এলাকা ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। প্রতিবেদনে বলা হয়, পাজিগি শহরের ব্যারেজে হামলায় নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। এই হামলায় নিহতদের মধ্যে ১৫ নারী ও শিশু রয়েছে। তবে বিবিসি এই সংখ্যা যাচাই করতে পারেনি বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।
স্থানীয় এক নাগরিক জানান, স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে একটি সামরিক জেট উপর দিয়ে উড়ে এসে একটি বোমা ফেলে। এরপর একটি হেলিকপ্টার থেকে টানা ২০ মিনিট ধরে গানশিপ দিয়ে আক্রমণ চালানো হয়।
স্থানীয়দের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ভয়ঙ্কর এক হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য। মাটিতে পড়ে আছে মৃতদেহগুলো। এছাড়াও আগুন লেগেছে বেশ কয়েকটি ভবনে।
২০২১ সালে এক ক্যু-এর মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতা দখলে নেয় সেনাবাহিনী। এরপর থেকে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীদের ওপর বিমান হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছে মিয়ানমার জান্তা সরকার। সাগাইং অঞ্চলের পাজিঘি গ্রামে বিরোধীরা সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তারা নিজেদের বাহিনী গড়েছে, সেইসঙ্গে স্কুল ও ক্লিনিকও বানিয়েছে।
বিরোধীদের ঘাঁটি ধ্বংসেই এই হামলা চালানো হয়।