প্রয়াত সহকারীর বাড়ি বানিয়ে দিলেন অভিনেতা মুশফিক
সহকারী হলেও ৩৩ বছর বয়সী প্রয়াত রায়হানকে নিজের ভাই মনে করতেন ফারহান। তার হঠাৎ মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন এই অভিনেতা

মুশফিক ফারহান শুধু অভিনয়টাই করতেন। এর বাইরে গতকয়েক বছরে তার সবকিছু দেখভাল করতেন তারই ম্যানেজার কাম সহকারী রওশন আলম রায়হান। কিন্তু ফারহান তাকে কখনই ম্যানেজার মনে করতেন না, নিজের ভাই মনে করতেন। ৩৩ বছর বয়সী রায়হানের হঠাৎ মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন ফারহান। মৃত্যুর কয়েকমাস পার হলেও রায়হানের মৃত্যু শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা মুশফিক ফারহান।
রায়হানের মৃত্যুর পর অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়ে তার পরিবার। সেই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুশফিক ফারহান। তিনি তার প্রয়াত সহকারীর স্বপ্ন পূরণে ঈশ্বরদীর (পাবনা) চরকুরুলিয়া গ্রামে একতলা ছাদের চার রুমের একটি বাড়ি বানিয়ে দিচ্ছেন। বর্তমানে সেই বাড়ির কাজ শেষের দিকে।
চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন প্রয়াত রায়হানের ভাই আবদুস সামাদ। তিনি বলেন, পাঁচ বছর আগে ইট দিয়ে শুধু ভিত তৈরি করা ছিল। ফারহান ভাই জানার পর একেবারে নতুন করে সম্পূর্ণ বাড়ি করে দিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের বাড়ি শেষ না করে নিজের জন্য কিছু করবেন না। তার নিজের ঢাকায় কোনো ফ্ল্যাট নেই। শুধু আছে একটি ভিনটেজ মডেলের গাড়ি। তিনি নিজের কথা না ভেবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ১০ লাখ টাকার উপর ফারহান ভাই খরচ করেছেন। কাজ শেষ করতে যা যা করণীয় তিনি করছেন। মা অনেক পর্দা করেন। তার জন্য গোসলঘর, বড় রুম করে দেয়া হচ্ছে। এই বাড়ির জন্য আমাদের পাঁচজনের পরিবার সুরক্ষা পাচ্ছে। রায়হানের ইচ্ছে ছিল ছাগলের খামার করার। ফারহান ভাই সেটাও করে দিচ্ছেন। রায়হান নেই এটা কোনো ভাবেই ফারহান ভাই বুঝতে দিচ্ছেন না। ফারহান ভাই সবসময় আমাদের পরিবারের খোঁজ খবর রাখছেন। উনি শারিরিকভাবে এখন অসুস্থ। নইলে এতদিনে হয়তো বাড়ির কাজ শেষ হতো। জানিনা কীভাবে তার প্রতি কৃতজ্ঞা জানাবো।

এ ব্যাপারে মুশফিক ফারহানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রায়হান ভাই ছিল আমার অভিভাবক। তিনি চলে যাওয়ার পর তার শূন্যতা ক্ষণে ক্ষণে অনুভব করছি। পরিবারের জন্য তার অনেক স্বপ্ন ছিল। তা পূরণের জন্য কী করছি বা আগামীতে করতে চাই এ বিষয়ে কিছু জানাতে চাই না।