জনপ্রিয় পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসওয়ালার হত্যা নিয়ে সরগরম গোটা ভারত। একে-৪৭ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলি চালিয়ে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় এই গায়ককে। এই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম। যার টার্গেটে আছে সালমান খানের নাম!
এমন খবর চাউর হওয়ার পর থেকে বাড়ানো হয়েছে বলিউড অভিনেতা সালমান খানের নিরাপত্তা। এমন খবরই জানিয়েছে ভারতীয় শীর্ষস্থানীয় বেশকিছু সংবাদ মাধ্যম।
হিন্দুস্তান টাইমসকে মুম্বাই পুলিশের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন,‘সালমান খানের নিরাপত্তা সার্বিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। তার অ্যাপার্টমেন্টের চারপাশেও ২৪ ঘন্টা পুলিশি টহল থাকবে, যাতে রাজস্থানের এই গ্যাং (লরেন্স বিষ্ণোই) কোনওরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পারে’।
কেন এই গ্যাংয়ের টার্গেটে সালমানের নাম? তা জানতে পিছিয়ে যেতে হবে দু’দশক। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র বলে গণ্য করা হয় কৃষ্ণসার হরিণকে। কৃষ্ণসার হরিণের রক্ষাকর্তা বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের অংশ লরেন্স। ১৯৯৮ সালে সালমান খানের উপর যোদপুরে ফিল্মের শুটিং চলাকালীন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সেই সময় থেকে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের চক্ষুশূল সালমান। এর আগে বেশ কয়েকবার সালমান খানকে শার্প শুটার দিয়ে হত্যার ছক কষেছে লরেন্স বিষ্ণোই। ২০১৮ সালে প্রকাশ্যে যে জানিয়েছিল, ‘যোদপুরে সালমান খানকে আমরা হত্যা করব’।
২০২০ সালের ১৫ আগস্ট উত্তরখণ্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাহুল ওরফে সাঙ্গা ওরফে বাবা সুরি নামের ২৭ বছরের শার্প শুটারকে। পুলিশি জেরায় সে স্বীকার করেছিল সালমান খানকে হত্যার ছক কষছিল তার দল। এমনকি সালমানের বাড়ি রেকি পর্যন্ত করেছিল লরেন্সের সহযোগীরা।
এদিকে পাঞ্জাবের জনপ্রিয় গায়ক সিধু হত্যার দায় স্বীকার করেছে কানাডার গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ হিবেবেই পরিচিত সে। এই মুহূর্তে তিহার জেলে বন্দি বিষ্ণোই। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এই কুখ্যাত গ্যাংস্টার। সংকটে তার জীবন, ‘ফেক এনকাউন্টার’ করে মেরে ফেলা হতে পারে তাকে এমন আবেদন জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সে। সিধু হত্যা মামলায় তার কাস্টডি কোনওভাবেই যাতে পাঞ্জাব পুলিশকে না দেওয়া হয় সেই আবেদনও জানিয়েছে এই গ্যাংস্টার। সূত্র: পিঙ্কভিলা , হিন্দুস্তান টাইমস