রবিবার (১ অক্টোবর) ট্রেলার প্রকাশের মধ্য দিয়ে জানানো হল ১৩ অক্টোবর মুক্তি পেতে পাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। হাতে দুই সপ্তাহের কম সময় নিয়ে সিনেমাটি মুক্তির ঘোষণা দেয়ায় প্রচারণায় কি কোনো ঘাটতি থাকবে?
যদিও এ নিয়ে মোটেও চিন্তিত নয় সংশ্লিষ্টরা। তারা জানাচ্ছেন, সিনেমাটি গত দুই বছর ধরেই সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। কবে মুক্তি পাবে, এ জন্যই সবাই অপেক্ষায় আছেন। নতুন করে প্রচারণারও খুব বেশী প্রয়োজন নেই।
সিনেমাটি পরিবেশনার দায়িত্ব পেয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়ায়। এই প্রযোজনা, পরিবেশনা সংস্থার কর্ণধার আব্দুল আজিজ। রবিবার তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, বাংলাদেশ-ভারতের যৌথপ্রযোজনায় নির্মিত তারকাসমৃদ্ধ ‘মুজিব’ রেকর্ড সংখ্যক সিনেমা হলে মুক্তি দিতে যাচ্ছেন।
‘মুজিব’ এর পরিবেশক হিসেবে আজিজের ভাষ্য, সারা বাংলাদেশের হল মালিকদের সাথে আমরা কথা বলেছি। তারা সবাই আমাদের জানিয়েছেন, ‘মুজিব’ চালাতে তারা খুব আগ্রহী।
আজিজ বলেন, একজন ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে ‘মুজিব’ সিনেমাটি আমি দেখেছি। খুব ভালো লেগেছে। সব ধরনের দর্শকের সিনেমা এটি। আপনারা যদি মনে করেন অন্যসব আর্টফিল্মের মতো মুজিব একটি, তা ঠিক নয়। আমি একজন সিনেমা ব্যবসায়ী, সেই জায়গা থেকে বলছি এটি কমার্শিয়াল জায়গা থেকে আমার কাছে ভালো লেগেছে। এজন্য হল মালিকদেরও সেটা বলেছি।
হল সংখ্যায় ‘মুজিব’ রেকর্ড করতে যাচ্ছে জানিয়ে আজিজ বলেন, “আশা করছি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কালের একটা বড় রেকর্ড হবে। কারণ ‘মুজিব’ ১৪৫টির মতো সিনেমা হলে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। আমার জানামতে বিগত ৭/৮ বছরে এতো সিনেমা হলে কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি।”
‘মুজিব’ নির্মাণ করেছেন ভারতের খ্যাতিমান নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল। ছবিতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ।
অন্যান্য চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া, নুসরাত ইমরোজ তিশা, চঞ্চল চৌধুরী, দিলারা জামান, সিয়াম আহমেদ, জায়েদ খান, খায়রুল আলম সবুজ, ফেরদৌস আহমেদ, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ, মিশা সওদাগর, জায়েদ খানসহ দেশের শতাধিক শিল্পী।
২০২১ সালের জানুয়ারির শেষ দিকে মুম্বাইয়ের দাদা সাহেব ফালকে স্টুডিওতে চলচ্চিত্রটির প্রথম ধাপের শুট শুরু হয়। এতে সহযোগী পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন দয়াল নিহালানি। চিত্রনাট্য লিখেছেন অতুল তিওয়ারি ও শামা জায়েদি। শিল্প নির্দেশনার দায়িত্বে রয়েছেন নীতিশ রায়। কস্টিউম ডিরেক্টর হিসেবে আছেন শ্যাম বেনেগালের মেয়ে পিয়া বেনেগাল। এতে গান লিখেছেন জাহিদ আকবর, সংগীত পরিচালনা করেছেন শান্তনু মৈত্র।