গেল শুক্রবার দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘এমআর নাইন- ডু অর ডাই’। বাংলার অন্যতম পাঠক নন্দিত স্পাই থ্রিলার মাসুদ রানা অবলম্বনে নির্মিত ছবিটির ভাষা যদিও ছিলো ইংরেজি! চেনা চরিত্র হলেও ভাষাগত কারণে সাধারণ দর্শক যেন কিছুটা দূরত্ব অনুভব করছিলেন!
তবে সে সংশয় আর থাকছে না! ‘এমআর নাইন’ এর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ জানিয়েছে, আগামি সপ্তাহ থেকেই প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটির বাংলা ভার্সন দেখতে পারবেন দর্শক!
আগে থেকেই প্রযোজনা সংস্থা থেকে জানানো হয়েছিলো, বাংলাদেশ-আমেরিকার যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘এমআর নাইন’ সিনেমাটি বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিতেও দেখা যাবে। ফলে দেশের দর্শক ধরেই নিয়েছিলেন, প্রথম দিন থেকেই বাংলায় মাসুদ রানাকে পর্দায় দেখবেন। কিন্তু ২৫ আগস্ট দেশের যে কয়টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে, সবখানেই দেখা গেছে ইংরেজি ভার্সনটি! ভাষাগত কারণে অনেক দর্শককেই সামাজিক মাধ্যমে উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
একই দিনে বাংলাদেশ ছাড়াও কানাডা ও আমেরিকার দেড় শতাধিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘এমআর নাইন’। প্রযোজনা সংস্থা কানাডা-আমেরিকার মতোই দেশের প্রেক্ষাগৃহে ইংরেজি ভার্সনটি মুক্তি দিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন! তারা মনে করেছিলেন, বাংলাদেশে বহু দর্শক হলিউড সিনেমা দেখে অভ্যস্ত। মাল্টিপ্লেক্সগুলোতেও নিয়মিত হলিউডের নতুন ছবি মুক্তি দেয়া হয়! এই শ্রেণিটাই টার্গেট ছিলো তাদের!
আরেকটি অসমর্থিত সূত্র জানাচ্ছে, ‘এমআর নাইন’ মুক্তির নির্ধারিত সময় ছিলো ২৫ আগস্ট। এরআগে বাংলা ডাবিংয়ের কাজটি পুরোপুরি সম্পন্ন করা যায়নি। ফলে বাংলা ভার্সনটি সেন্সর করাতে দেরী হয়ে যায়।
বাংলা ডাবিং সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এই ছবির প্রযোজক আবদুল আজিজ জানান, আজ ‘এমআর নাইন’ এর বাংলা ভার্সনটির সেন্সর সার্টিফিকেট পেয়েছি। এখন বাংলাদেশের দর্শক মাসুদ রানা এর এই সিনেমাটি বাংলায় দেখতে পারবেন।’
তিনি জানান, ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব প্রেক্ষাগৃহে ‘এমআর নাইন’ বাংলা ভাষায় মুক্তি পাবে।
কথাসাহিত্যিক কাজী আনোয়ার হোসেনের জনপ্রিয় স্পাই থ্রিলার সিরিজ ‘মাসুদ রানা’। বইয়ের পাতা থেকে রূপালী পর্দায়! সিরিজের ‘ধ্বংস পাহাড়’ উপন্যাস অবলম্বনে ঢালিউড-হলিউডের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবিএম সুমন।
এ ছাড়াও অভিনয় করেছেন সাক্ষী প্রধান, শহীদুল আলম সাচ্চু,মাইকেল জেই হোয়াইট, নিকো ফস্টার, ম্যাট পাসমোর, কেলি গ্রেসন, ফ্রাঙ্ক গ্রিলো প্রমুখ।
৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত যৌথ প্রযোজনার এই ছবিটিতে জাজ ছাড়াও বিনিয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ফিল্ম পোস্ট, চেজিং বাটারফ্লাইস পিকচারস ও আল ব্রাভো ফিল্মস। ছবির নির্মাতা আসিফের সঙ্গে যৌথভাবে চিত্রনাট্য লিখেছেন আব্দুল আজিজ ও নাজিম উদ দৌলা। ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন গ্র্যামিজয়ী ভারতীয় সংগীতশিল্পী রিকি কেজ।