চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মাত্র ৩০ সেকেন্ডে মোটরসাইকেল চুরি, ব্যবহারে মাস্টার চাবি

মাত্র ২৫ থেকে ৩০ সেকেন্ডে শপিংমলের সামনে থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে একটি চোরচক্র। এই চুরি করতে তারা একটি মাস্টার চাবি ব্যবহার করে। চাবিটি ব্যবহার করে মাত্র ২৫-৩০ সেকেন্ডে মোটরসাইকেলের ঘাড় লক ভেঙ্গে মোটরসাইকেল চালু করে নিয়ে পালিয়ে যায়।

বুধবার ২৪ মে হবিগঞ্জে বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চুরি চক্রের মূলহোতা মো.জাকারিয়া হোসেন হৃদয় (২৫) কে গ্রেপ্তার করে ডিবির গুলশান বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ গাড়ী চুরি প্রতিরোধ টিম। গ্রেপ্তারের সময় তার হেফাজত থেকে বিভিন্ন মডেলের ১২ টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়ে।

ডিবি জানায়, গত ১০ মে ভাটারা থানায় একটি মোটরসাইকেল চুরি সংক্রান্ত মামলা হয়। সেই মামলার ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে ডিবির হাতে গ্রেপ্তার হোন জাকারিয়া। জাকারিয়া একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্রের মূলহোতা। তার চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল চুরি করে আসছে। এই চক্রটি মাত্র জাকারিয়া ছাড়া এই চক্রে আরও বেশ কয়েকজন সদস্য রয়েছে। বাকি পলাতক আসামিরা হলেন জাহাঙ্গীর, জিতু, ইকবাল, খালেক।

বৃহস্পতিবার ২৫ মে দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের বিভিন্ন সময় শপিংমলের সামনে থেকে মোটরসাইকেল চুরি হয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে মামলা হয় না। তবে যমুনা শপিংমলের সামনে থেকে কালো রঙ এর বাজাজ মোটরসাইকেলটি চুরি হওয়ার পর মালিক মামলা করে। মামলাটি হওয়ার পর আমরা ছায়া তদন্ত শুরু করি। ঐ মোটরসাইকেলটি উদ্ধারের জন্য আমরা বন্ধু মটরসের গ্যারেজে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানের সময় গ্যারেজের মালিক মোহন পালিয়ে যায়। তবে অভিযানে এই চুর চক্রের মূলহোতা জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরসহ গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় যত মোটরসাইকেল চুরি হয় এর সঙ্গে এই চক্রটি জড়িত। গ্রেপ্তারদের মধ্যে সুমন এই চক্রের রেকি সদস্য। সে বিভিন্ন শপিংমলের সামনে গিয়ে মোটরসাইকেল রেকি করে। মালিক মোটরসাইকেল রেখে শপিংমলের ভিতরে যাওয়ার পর অন্য সদস্যদের সে জানায়। এই তথ্য পাওয়ার পর চক্রের সদস্য জিতু ও জাহাঙ্গীর তাদের কাছে থাকা মাস্টার চাবি দিয়ে মোটরসাইকেলটি চালু করে দ্রুত পালিয়ে যায়।

পরে চক্রের সদস্য খালিক সে এই মোটরসাইকেল নিয়ে বন্ধু মটরসের মালিকের কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে বন্ধু মোটরসের মালিক ৫০-৬০ হাজার টাকা আবার বিক্রি করে দেয়।

অতিরিক্ত কমিশনার হারুন আরও বলেন, এই চক্রটির কাছ থেকে আমরা এখন পর্যন্ত ৫০ টির ওপরে মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছি। চক্রটির মূলহোতা জাকারিয়া জানায় তারা ঢাকা শহরের সব শপিং মলের সামনে থেকে এভাবে মোটরসাইকেল চুরি করে। তাদের একটা দোকান আছে, সেখান থেকে তারা মাস্টার চাবি সংগ্রহ করে এভাবে মোটরসাইকেল চুরি করে। তারা হবিগঞ্জের বন্ধু মোটরসে তাদের এই চুরির মোটরসাইকেলগুলো বিক্রি করে।

ডিবি প্রধান বলেন, আমরা ডিবির পক্ষ থেকে সবাইকে বলছি মোটরসাইকেল সব সময় পার্কিং এ পার্ক করবেন ১০ টি টাকা লাগলেও। তার পরেও যদি চুরি হয়ে যায়, তাহলে থানায় জিডি নয় মামলা করবেন। আর যদি কোনো কারণে থানা মামলা নিতে না চাই তাহলে ডিবি অফিসে অভিযোগ করতে পারেন।