
ভারতের ওড়িশায় যাত্রীবাহী রেল করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। শনিবার ভোর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩৩ বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। এ ঘটনায় আহত ৯০০ জনেরও বেশি বলেও জানাচ্ছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওড়িশার দমকল বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল সুধাংশু ষড়ঙ্গী জানিয়েছেন, শনিবার ভোর পর্যন্ত অন্তত শতাধিক মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনে অনেক যাত্রী আটকে রয়েছেন বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন। ট্রেনের দরজা ভেঙে ও গ্যাস কাটারের সাহায্যে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীকেও।
আনন্দবাজার জানায়, দুর্ঘটনা এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঘটনাস্থলে পৌঁছচ্ছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব-সহ রেলের পদস্থ অফিসারেরা। রেল উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ৩টা ১৫ মিনিটে শালিমার স্টেশন থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ট্রেনটি বালেশ্বরে পৌঁছে। এর পরেই বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩টি বগি সম্বলিত ট্রেনটি।

স্থানীয়রা জানায়, করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটির সাথে একটি মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এর ফলে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটির প্রায় সকল কামরা লাইনচ্যুত হয়ে ছিটকে পড়ে। দুর্ঘটনা এতটাই মারাত্মক ছিল যে, করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটির ইঞ্জিনরুম মালবাহী ট্রেনের উপরে উঠে গেছে।
দুর্ঘটনাটি সিগনালে ত্রুটির কারণে নাকি চালকের ভুলে ঘটেছে তা এখনও নিশ্চিত নয়। রেল উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।