মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি প্রসিকিউশন) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এরআগে রোববার (২৯ অক্টোবর) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার(ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, গতকালকের পুলিশ হত্যা, আগুন, রাজারবাগ হাসপাতালে অগ্নিসংযোগসহ অন্তত ডজনখানেক মামলা হবে। এসব ঘটনায় যেকোন মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে বিএনপি মহাসচিবকে রাজধানীর মিন্টু রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। এ বিষয়ে ডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ডিএমপির বিভিন্ন থানায় অন্তত ২৪টি মামলার প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এসব ঘটনায় ৬৮২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিবের আটকের বিষয়টি জানান দলের চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি বলেন, সকাল ৯টার আগে থেকে মহাসচিবের গুলশানের বাসার সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেয়। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।
আটকের পর মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেন, সকালে ডিবি পুলিশের লোকজন বাসায় আসে, মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বাসার সবার সঙ্গে কথা বলে। এরপর সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ হার্ড ডিস্ক নিয়ে ভবনের নিচে চলে যায়। ঠিক দশ মিনিট পর আবার ফিরে এসে মির্জা ফখরুলকে আটক করে নিয়ে যায় তারা।