মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাহিনীর সাথে দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তুমুল লড়াই চলছে। দুই পক্ষের এই লড়াইয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে পাড়ি জমাচ্ছেন সেখানকার হাজার হাজার বাসিন্দা।
রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ২০২১ সালে অভ্যুত্থানে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সম্প্রতি সময়ের সবচেয়ে বড় সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। অক্টোবরের শেষের দিকে দেশটির তিনটি জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্যরা জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে একযোগে সমন্বিত হামলা করে সেখানকার নিরাপত্তা বাহিনীকে হটিয়ে কিছু শহর ও সামরিক চৌকির দখল নেয়।
জাতিগত সংখ্যালঘু তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একটি আরাকান আর্মি (এএ) মিয়ানমারের পশ্চিমের রাখাইন রাজ্যে স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই চালিয়ে আসছে। আরাকান আর্মির মুখপাত্র খিন থু খা বলেছেন, তারা রাথেদাউং এবং মিনবিয়া এলাকার সামরিক বাহিনীর কয়েকটি চৌকি দখলে নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা কিছু পোস্ট জয় করেছি এবং আরও কিছু জায়গায় লড়াই অব্যাহত রয়েছে।
রাথেদাউংয়ের এক বাসিন্দা বলেছেন, সোমবার ভোরের দিকে গুলির শব্দ শোনা গেছে এবং কয়েক ঘণ্টা ধরে সেখানে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। সামরিক বাহিনী ওই এলাকায় প্রবেশের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। প্রশাসনিক ভবনগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে দেখা গেছে।
ভারতের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের চিন রাজ্যেও সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। বিদ্রোহীরা দুটি সামরিক শিবিরে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের এক কর্মকর্তা। মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী জেলা চম্পাইয়ের প্রশাসক জেমস লালরিঞ্চানা বলেছেন, নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে প্রায় ৫ হাজার মানুষ ভারতের মিজোরামে প্রবেশ করেছেন।
সংঘাতের বিষয়ে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের মুখপাত্রের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।