আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মরুর বুকে বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিলেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপ জয় দিয়ে ‘বিশ্বজয়ী’ হয়েছেন। জাতীয় দল জার্সিতে এ অর্জনের আগে ফ্যাকাসে ছিল মহাতারকার ক্যারিয়ার। আন্তর্জাতিক শিরোপা না থাকায় শুনতে হতো কটু কথা। কোপা আমেরিকা জয় দিয়ে যার পালাবদলের শুরু।
মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দিতে পরিবারসহ মেসি এখন যুক্তরাষ্ট্রে। রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে পরিচয় করিয়ে দেবে মিয়ামি। সেখানেই আর্জেন্টিনার একটি টিভি চ্যানেলকে জানিয়েছেন মনে লুকায়িত রাখা এসব কথা।
আর্জেন্টিনার হয়ে ২০২১ সালে কোপা আমেরিকা ও গতবছর বিশ্বকাপ জয়ের আগে ক্লাব ক্যারিয়ারের এতসব অর্জনের পরেও সমালোচনার মধ্যে দিয়েই যেতে হয়েছে মেসিকে। ৩৬ বর্ষী মেসি জানালেন সেই সময়গুলো কেমন ছিল।
‘সত্যিটা হল সেই সময়গুলো খুব কঠিন ছিল। যখন বার্সেলোনাতে থাকতাম, সময়টা দারুণ যেত। কারণ সেসময় দারুণ সব ম্যাচে জয় পেতাম, ভালো করতাম, প্রশংসা শুনতাম এবং খেলাগুলো উপভোগ করতাম। কিন্তু যখন বার্সা থেকে আর্জেন্টিনার মাটিতে পা ফেলতাম, তখনই নানারকম কটুকথা শুনতে হতো। আমাকে নিয়ে মানুষের তর্ক ও সমালোচনা থাকত। কারণ সবসময় একটা ফলের উপর নির্ভর করে আমাকে মূল্যায়ন করা হতো।’
‘ভাগ্যবান যে আমি ক্লাব পর্যায়ে ভালো করছিলাম। যখন জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে কিছু ভুল হয়ে যেত, তখন বার্সেলোনায় চলে যেতাম। ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করতাম জাতীয় দলের হয়ে আমরা কতটা খারাপ করছিলাম।’
‘অনেক সমালোচনা শুনেছি, তবে বাজে কথাই বেশি ছিল। লোকেরা ফুটবলের চেয়ে বেশি বাইরের কথাই বলত। যা অসম্মানের সীমা ছাড়িয়ে যেত। এসব একদমই ভালো কিছু ছিল না। এমনকি পরিবারকেও এসব শুনতে হতো। তারাও অনেক কষ্ট পেতো। তারা দেশেই থেকে গেল এবং সবকিছু সহ্য করে নিতো। সেই সময়গুলোতে কাঁদিনি, কিন্তু অনেক কষ্ট পেয়েছি।’
‘খুব কঠিন সময় পার করেছি। জাতীয় দলের হয়ে সবসময় চাইতাম এমন কিছু অর্জনের। আর এসব ঘটনার পর আরও বেশি আশা করতে থাকি এমনকিছুর। আমার মাথায় ছিল যে, আমাকে এটি অর্জন করতেই হবে।’