মেজর লিগ সকারে গত ম্যাচে ন্যাশভিলের বিপক্ষে পয়েন্ট হারিয়েছিল ইন্টার মিয়ামি। গোলশূন্য ড্র করেছিল। পরের ম্যাচেই জয়ের ধারায় ফিরেছে লিওনেল মেসি বাহিনী। নিজে লক্ষ্যভেদ করতে না পারলেও সতীর্থদের দিয়ে দুই গোল করিয়েছেন বিশ্বজয়ী মেসি। লস অ্যাঞ্জেলেসের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় পেয়েছে টাটা মার্টিনোর দল।
ক্যালিফোর্নিয়ার বিএমও স্টেডিয়ামে সোমবার সকালে লস অ্যাঞ্জেলেসের মুখোমুখি হয়েছিল ইন্টার মিয়ামি। এমএলএসের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের জন্য জাতীয় দলের অনুশীলনেও দেরিতে যোগ দিচ্ছেন কিংবদন্তি মেসি। এমন উত্তাপের ম্যাচে মেসিকে বিশ্রাম না দেয়ার ব্যাপারটি অবশ্য ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে রেখেছিলেন কোচ মার্টিনো।
ম্যাচে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চাপে রাখে মিয়ামি। সুফল মেলে ১৩ মিনিটে। আর্জেন্টাইন সেন্টার-ব্যাক টমাস অ্যাভিলেসের কাছ থেকে বল পেয়ে জালে জড়ান আরেক আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ফাকুন্দো ফারিয়াস।
কিছু সময় পর সমতায় ফিরতে পারত লস অ্যাঞ্জেলেস, সুযোগ হাতছাড়া করে। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন বোয়াঙ্গা। ৩৮ মিনিটে একই রকম একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন মেসি। এলএম টেনকে দারুণভাবে রুখে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক।
বিরতির পর অবশ্য ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে লস অ্যাঞ্জেলেস। তাদের সেই পথ আরও কঠিন করে দেন মেসি-আলবা। ৫১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দারুণভাবে মেসি বল বাড়ান আলবার উদ্দেশ্যে। বল পেয়ে জালে জড়াতে ভুল করেননি স্প্যানিশ তারকা। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় মিয়ামি।
৮৩ মিনিটে আবারও ঝলক দেখান মেসি। বল পেয়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ঢুকে নিজে শট নেয়ার জায়গা না পেলে বাড়িয়ে দেন সতীর্থ লিওনার্দো ক্যাম্পানাকে। দারুণ ফিনিশিংয়ে ৩-০ ব্যবধান করে দেন ক্যাম্পানা।
শেষদিকে লস অ্যাঞ্জেলেসের হয়ে রায়ান হোলিংশেড এক গোল করে ব্যবধান কমান। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-১। ম্যাচে অবশ্য তারা বেশকিছু সুযোগ পেয়েছিল, কাজে লাগাতে পেরেছে মাত্র একটিই।
এই ম্যাচ শেষে ২৫ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে এমএলএসের পয়েন্ট টেবিলের ১৪ নম্বরে আছে ইন্টার মিয়ামি। ২২ পয়েন্ট নিয়ে তাদের নিচে আছে কেবল টরোন্টো। আর ২৭ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে সিনসিনাটি।